| শনিবার, ২২ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
সিলেট: সিলেট বিএনপিকে সংগঠিত করার জন্য দ্বায়িত্ব পাচ্ছেন নিখোঁজ দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আর দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীকে সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলায় শমসের মুবিন মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে পরাজিত হওয়া, তার নিজ এলাকা গোলাপগঞ্জে তিন প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, সর্বশেষ সদর উপজেলায় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ার শমসের মুবিন চৌধুরীর উপর ক্ষুব্ধ রয়েছেন দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
অপরদিকে সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের জন্য ইলিয়াস পতœী লুনাকে দ্বায়িত্ব দেন দলীয় প্রধান। লুনাও অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করে দলের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করেন। এজন্য দলীয় প্রধানের সুনজরে রয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ সদর উপজেলায় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে বেকায়দায় রয়েছেন শমসের মুবিন। প্রথমে হাইকমান্ডকে ম্যানেজ করে নিজের আস্থাভাজন আবুল কাহের শামীমকে দলের ও জোটের সমর্থন দিয়ে বহিষ্কার করার দলের অপর প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদাকে। কিন্তু দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপ আর একটি বিশেষ জরিপে মাঠে হুদার অবস্থান শক্ত থাকায় শেষ পর্যন্ত হুদাকেই দল ও জোটের সমর্থন দেয়া হয়।
কিন্তু তাতেও মাঠ ছাড়েননি আবুল কাহের শামীম। তিনি নিজ বলয়ের নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি এমএ হক ও জেলা বিএনপির জ্যৈষ্ঠ সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা চালাতে থাকেন। এতে শমসের মুবিনের উপর চরম ক্ষুব্ধ হয় খালেদা জিয়া।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে কেন্দ্রের নেতাদের উপস্থিতিতে শমসের মুবিনকে হুদার পক্ষে কাজ করতে এবং তার প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কড়া নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ইলিয়াস পত্নী লুনাকে সদর উপজেলায় হুদার পক্ষে মাঠে নামার নির্দেশ দেন। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত শামীম নির্বাচনে অটল থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর দিনভর হুদার পক্ষে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেন লুনা। এ ব্যাপরে কথা বলতে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম. ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাকে সিলেট বিএনপির কোন দ্বায়িত্ব দেয়া হয়নি। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আমাকে নুরুল হুদার পক্ষে মাঠে প্রচারণা চালাতে বলেছেন। তাই এক দিন প্রচারণায় ছিলাম। এর আগে বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথে প্রার্থী নির্ধারণের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি তা পালন করেছি। আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ীও হয়েছে।’
Posted ১১:০২ | শনিবার, ২২ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin