| মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট
গ্রেপ্তার হওয়ার পরে এই প্রথম দেখা গেলো মিয়ানমারের গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সু চিকে। তার শরীর ভালো আছে। সোমবারও দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গণতন্ত্রপন্থীরা।
প্রায় এক মাস পরে তাকে দেখতে পাওয়া গেল। তবে ভিডিও কনফারেন্সে। ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনা গ্রেফতার করেছিল অং সান সু চিকে। তারপর থেকে সু চির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার আদালতে তার শুনানি ছিল। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে সু চিকে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, নেত্রীর শরীর ঠিক আছে। তার উপর অত্যাচারের কোনো বিষয় সু চি জানাননি। তবে এ দিন আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি নতুন অভিযোগ করা হয়েছে। কবে তিনি মুক্তি পেতে পারেন, সে বিষয়েও এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই সুচি-র নেতৃত্বে গঠিত মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দেশের সেনা। বিনা রক্তপাতে তারা ক্ষমতা দখল করে। সু চিসহ একাধিক মন্ত্রী এবং শাসক দলের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সেনা কিছু জানায়নি।
জানা গেছে, সু চিকে নেপিদতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে দীর্ঘ সেনা শাসনকালে এই শহরটিকেই রাজধানী হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। এখনো এই শহরে সেনার প্রভাব বেশি। গোটা শহরটিকে কার্যত ঘিরে রেখেছে সেনা।
আগে সু চি-র বিরুদ্ধে দুইটি বিষয়ে মামলা করা হয়েছিল। আইন ভেঙে ওয়াকিটকি বিদেশে রপ্তানি করেছেন তিনি। এবং দুই, করোনাকালে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আইন ভেঙেছেন তিনি। সোমবার তার বিরুদ্ধে আরও দুইটি নতুন ধারায় মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি কার্যত দেশদ্রোহের শামিল। বলা হয়েছে, তিনি এমন লেখা প্রচার করেছেন, যা দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে চিন্তাজনক।
এদিকে, রবিবারের পর সোমবারেও গোটা মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। এদিনও সেনা আন্দোলনকারীদের দমন করতে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বহু মানুষকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। রবিবার সেনার গুলিতে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারই জেরে সোমবার বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়। এদিন কতজন গ্রেফতার হয়েছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
Posted ১৬:১৮ | মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain