পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ধাপে সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার বিকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এই তফসিল ঘোষণা করেন।.

ইসি সচিব বলেন, পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভার নির্বাচন হবে। এই ধাপের সব কটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন যাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ৮ ও ১০ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১১ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে ছুটি থাকবে না বলে জানান ইসি সচিব।

সিনিয়র সচিব জানান, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা আগের মতো দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কোনো জেলায় একাধিক পৌরসভায় নির্বাচন থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হবে।.

এক প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, ‘ইভিএমে মানুষের আস্থা বেড়েছে। এজন্যই মানুষ লাইন দিয়ে ৪টার পরেও ভোট দিয়েছে।’

যে ৩১টি পৌরসভায় ভোট

চট্টগ্রামের মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, ভোলার চরফ্যাশন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, জামালপুরের ইসলামপুর, রংপুরের হারাগাছা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, চাঁদপুরের মতলব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, হবিগঞ্জ সদর, রাজশাহীর দুর্গাপুর, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ।,

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, যশোরের কেশবপুর, জয়পুরহাট সদর, বগুড়া সদর, জামালপুর সদর, মাদারীপুরের শিবচর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ময়মনসিংহের নান্দাইল, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট, মাদারীপুর সদর, ভোলা সদর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, যশোর সদর ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ।

প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় গত ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট হয়েছে। এরপর ১৬ জানুয়ারি ভোট হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্ধ ধাপে ৫৮ পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।