বৃহস্পতিবার ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্মেনিয়ার মিসাইল হামলায় আজারবাইজানে নিহত ২১

  |   বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট

আর্মেনিয়ার মিসাইল হামলায় আজারবাইজানে নিহত ২১

আরও তীব্র হলো নাগর্নো-কারাবাখ ঘিরে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ। বুধবার রাতে আজারবাইজান দাবি করেছে, আর্মেনিয়ার একাধিক মিসাইল হামলায় নাগর্নো-কারাবাখ সীমানায় আজারবাইজানের একটি গ্রামে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য। যদিও আজারবাইজানের এই দাবি অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া।

গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৃতীয়বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল দুই রাষ্ট্র। এর আগে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা সফল হয়নি। রবিবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুইটি দেশ। আজারবাইজানের অভিযোগ আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে প্রথম আক্রমণ চালায়। আর্মেনিয়াও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে পাল্টা একই অভিযোগ করে।

বুধবার রাতের দিকে আজারবাইজান সরকারের মুখপাত্র দাবি করেন, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে লাগাতার মিসাইল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই জেরে নাগর্নো-কারাবাখের কাছে একটি অঞ্চলে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

আর্মেনিয়া অবশ্য আজারবাইজানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, আজারবাইজানের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালানো হয়নি। বস্তুত, এর আগেও আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল। আজারবাইজান জানিয়েছিল, তাদের একাধিক শহর লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়া সেকথাও অস্বীকার করেছিল। কিন্তু সংবাদকর্মীদের লেন্সে উঠে এসেছিল গ্যাঞ্জাসহ আজারবাইজানের একাধিক শহরের ভয়াবহতার দৃশ্য।

 

এদিন আর্মেনিয়াও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। তাদের বক্তব্য, নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মিসাইল আক্রমণ চালিয়েছে আজারবাইজান। তবে আর্মেনিয়ার তরফে হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি।

 

এদিকে আর্মেনিয়ার একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনয়ান বলেছেন, রাশিয়ার বর্ডার গার্ড আর্মেনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছে। রাশিয়ার সঙ্গে আর্মেনিয়ার সামরিক চুক্তি রয়েছে। যার জেরে রাশিয়া আর্মেনিয়াকে প্রতিরক্ষা সুরক্ষা দিতে দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর আগে ইরান এবং তুরস্কের সীমান্তে আগেই রাশিয়ার বর্ডার গার্ড ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজারবাইজান সীমান্তেও তারা পৌঁছে গিয়েছে। তাহলে কি রাশিয়া এবার সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে? এ বিষয়ে আলোকপাত করেননি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তবে গত সপ্তাহে রাশিয়া জানিয়েছিল, এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করছে না তারা।

 

আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বুধবার বিবৃতি দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ইরান সীমান্তে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক শহর গুবাডলি দখলে নিয়েছে আজারবাইজানের সেনা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই যুদ্ধে গুবাডলি দখলে নেওয়া আজারবাইজানের পক্ষে বড় জয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:০১ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com