বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়তে পারে ‘মার্ডার হর্নেট’

  |   সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়তে পারে ‘মার্ডার হর্নেট’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এশিয়ান জায়েন্ট হর্নেট। মৌমাছির থেকে আকারে কিছুটা বড় এই পতঙ্গের বিষাক্ত হুল মানুষের শরীরে ফুটলে মৃত্যু অনিবার্য।সম্প্রতি এই হর্নেট ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মার্কিন মুলুকে।

দ্রুত এই পতঙ্গকে বাগে আনতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও কোনো বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে মানব জাতি। এমনটাই সর্তকবার্তা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ডেইলি মেইলের।

খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন গবেষকরা ওয়াশিংটনের ওয়াটকমের কাউন্টিতে পুরুষ এশিয়ান জায়ান্ট হর্নেটের খোঁজ পেয়েছিলেন। যা ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুঁজে পাওয়া এই প্রজাতির প্রথম পুরুষ হর্নেট। এরপর গত ১৪ জুলাই একই রকম আরও সাতটি এই পুরুষ জায়ান্ট হর্নেটের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।

 

যার ফলে বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, যেভাবে গোটা আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে দৈত্যাকৃতির এই হর্নেট গুলি প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও কোনো বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে না হয়!

ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির এনটমোলজিস্ট ডেভিড ক্রোডার বলেছেন, ‘এটি যদি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ আক্রমণাত্মক একটি প্রজাতি হবে এটি। যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’

 

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানে বেশি দেখা যায় এবং ওই দেশ গুলিই জায়ান্ট হর্নেটের আদি বাসস্থান বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, ওই সমস্ত দেশে জায়ান্ট হর্নেটের প্রায় ২০০ টি প্রজাতির বাস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

এছাড়াও তাদের পছন্দের জলবায়ুর কারণে তারা আগামী ২০ বছরের মধ্যে ওরেগন, ওয়াশিংটন এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কিছু অংশ জুড়ে নতুন বাসস্থান গড়ে তুলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ওয়াশিংটনের স্টেট ডিগ্রি অফ অ্যাগ্রিকালচার (ডাব্লুডিএসএ) হরনেটগুলির ছড়িয়ে পড়া আটকানোর জন্য এই অঞ্চলে প্রায় ১,৪০০টি ফাঁদ তৈরি করেছেন। যাতে করে ওই জালে আটকা পড়ে যায় হর্নেট।

 

এছাড়াও মার্কিন গবেষকরা যদি এদের কোনো বাসা সনাক্ত করতে সক্ষম হন তবে এটি নির্মূল করা আরও সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও সেটি খুব একটা সহজ কাজ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এশিয়ান হর্নেটের দেহের রঙ বাদামী বা কালো হয়। এছাড়াও পেটের চতুর্থ অংশে হলুদ বা কমলা রঙের ব্যান্ডের মতো দাগ রয়েছে এবং পায়ে হলুদ রঙের ডগার মতো অংশ রয়েছে। এগুলো বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাতি এবং সাধারণত প্রায় দুই ইঞ্চি লম্বা হয় এরা।

 

এশিয়ান জায়ান্ট হর্নেট মৌমাছির চেয়েও দ্বিগুণ বড় এবং তিন ইঞ্চিরও বেশি মাপের লম্বা ডানা রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ডাব্লুএসডিএ কানাডার সীমান্ত লাগোয়া ওয়াশিংটনের ব্লেইনের কাছে এশিয়ান জায়ান্ট হর্নেটের দুটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছিল। সেই সময় এগুলো ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দেখা এশিয়ান জায়ান্ট হর্নেটে।

 

এছাড়াও ২০১৯ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার দুটি জায়গায় এশিয়ান জায়ান্টের আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, মারাত্মক ক্ষতিকর এই হর্নেট কেবল এক মিনিটের মধ্যে ৪০টি মৌমাছিকে মেরে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয়, এরা মৌমাছিদের মেরে নিজেদের বাচ্চাদের তা খাওয়ায়৷ ফলে মৌমাছি হল এদের অন্যতম একটি প্রধান খাদ্য।

 

এরা সেভাবে মানুষদের আক্রমণ করে না। আর যদি কোনো মানুষের শরীরে এরা একবার হুল ফুটিয়ে ফেলতে পারে তাহলে এর বিষাক্ত রঞ্জন মানব দেহে প্রবেশ করে শরীরের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এমনকি এর কারণে মৃত্যুও পর্যন্ত ঘটতে পারে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:৫৪ | সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com