শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণে ভুটানের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

  |   সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণে ভুটানের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণে ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।

 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ অনুমোদনের কথা জানান।

 

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ভুটানকে ১৮টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার দিচ্ছে। বাংলাদেশের ৯০টি পণ্য ভুটানে ‍শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে। পরে ভুটান আরও কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়ায় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৯ সালের ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২১ থেকে ২৩ আগস্ট ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং হয়। গত ১৯ জুন দ্বিতীয় সভা হয়। এর মাধ্যমে একটা দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে পিটিএ ড্রাফট করে তা আজ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন দেয়।’

 

এছাড়া ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে এসকাপের একটা সেশনে ২০১৬ সালে পেপারলেস ট্রেডের বিষয়ে একটা রেজুলেশন হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চুক্তিগুলো হয়।’

 

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়ে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিটি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি মোতাবেক একে রেটিফাই করার প্রয়োজন পড়ে, আজ এটিকে রেটিফাই করার জন্য আনা হয়েছে।’

 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গ্রাজুয়েশন (মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া) হয়ে যাওয়ায় আমরা অনেক প্রিফারেন্স হারাব। জিএসপিসহ নানা সুবিধা কমে আসবে। তখন আমাদের সবকিছু অর্জন করতে হবে। এ জন্য যেকোনো রিসোর্স আনতে চাইলে অর্জন করতে হবে। বিশ্বব্যাংক এখন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সুদে দিত, তখন বেড়ে যাবে।’

 

তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের রিসোর্স আকর্ষণ করার জন্য ব্যবসা সহজীকরণ সূচক বড় জিনিস হবে। আমরা ১৭৬-তে ছিলাম এবার ১৬৮-তে নেমে এসেছি। এই ফ্রেমওয়ার্ক ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্টটা আমাদের ব্যবসা সহজীকরণকে আরও সহজ করে দেবে এবং বিদেশি ফান্ড ও উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করবে। সে জন্য এই চুক্তিটা অনুসমর্থন করার প্রয়োজন ছিল। আজ মন্ত্রিসভা সেটা এগ্রি করেছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:২১ | সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com