মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির স্বীকারোক্তি

  |   বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির স্বীকারোক্তি

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।

গত ২২ আগস্ট শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ঘটনার বিষয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারি পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা।

সেই আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে ২১ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পুলিশের একটি দল। গত ২৬ জুন শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি।

ওই মামলায় সিআইডি রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা। সিআইডি জানায়, রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে চাঁদাবাজি ও হামলার মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর শামীমকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। এ মামলায় আরো গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন রাতে শহরের মোল্লাবাড়ী সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সুবল চন্দ্র সাহা ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরও সাতজন।

এর পর ঢাকার সিআইডি পুলিশ বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়।সূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:৪৫ | বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com