শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা চেয়ে রিট, আদেশ সোমবার

  |   রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ | প্রিন্ট

নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা চেয়ে রিট, আদেশ সোমবার

করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সাধারণ রোগীদের (নন-কোভিড) ফিরিয়ে না দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রির্টের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য সোমবার (১৫ জুন) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৪ জুন) রিটটি শুনানির নির্ধারিত দিনে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ ভার্চুয়াল শুনানিতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান অংশ নেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

এর আগে শনিবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে দেশের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সাধারণ রোগীদের ফিরিয়ে না দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। রিটে রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরত দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। আইনজীবীরা হলেন-অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক ফয়সাল, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

রিটে স্বাস্থ্য সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) এবং উপ-সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে ‘হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছে রোগীরা’, ‘করোনার রিপোর্ট না দেখাতে পারায় ভর্তি নেয়নি চমেক, আইনজীবীর মৃত্যু’, ‘মায়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না বি-বাড়িয়ার স্বাস্থ্য পরিচালক’ ও ‘ছয় হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে স্ত্রী সন্তানের সামনেই মৃত্যু’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকার খবর সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১১ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয় দেশের হাসপাতালগুলোকে। মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে রিট করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান ও এএম জামিউল হক ফয়সাল।

তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সকল হাসপাতাল-ক্লিনিকে আগত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানানোর আর্জি করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গত ১১ মে দেশের সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও অধিদফতর থেকে জানানো হয়।

‘অথচ সরকারের সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক সাধারণ রোগীদের করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে একটি করোনা টেস্ট করাতে রোগীর জন্য চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগতে পারে। অথচ গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট করানো এবং সে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই প্রতিদিনই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দেশের সংবাদমাধ্যমে উঠে আসছে।’

রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়াও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা-ও জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত ১১ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

১. সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকে সন্দেহভাজন কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২. চিকিৎসা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আগত কোনো রোগীকে ফেরত দেয়া যাবে না। রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ‘কোভিড হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের’ সাথে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে রেফার করতে হবে।

৩. দীর্ঘদিন ধরে যে সকল রোগী কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করছেন তারা কোভিড আক্রান্ত না হয়ে থাকলে তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধান অনুসারে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জাগোনিউজ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:২১ | রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com