মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ব্রিটেনে দীর্ঘদিন অনিয়মিত এবং অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়উপযোগী প্রস্তাব 

  |   বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট

ব্রিটেনে দীর্ঘদিন অনিয়মিত এবং অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়উপযোগী প্রস্তাব 

 

ডেস্ক রিপোর্ট : নিম্নে লিখিত দুটি প্রস্তাব অবৈধ বা অনিয়মিত অভিবাসী যারা শুধুমাত্র বৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশ করছিল কিন্তু নানা পরিস্থিতির কারনে অবৈধ হয়ে গেছে তাদের জন্য যা মাত্র আগামী ১ বছরের জন্য কার্যকর করা গেলে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে এবং ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে এই অভিবাসীরা ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে ।

ব্রেক্সিটের এই ক্রান্তিকালে অনিয়মিত / অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব যা কার্যকর করা যেতে পারে :

১. ব্রিটেনে পূর্বে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর অবৈধ বা অনিয়মিতভাবে বসবাস করা অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়ার যেই আইনটি ছিল তা পুনরায় কার্যকর করা যেতে পারে ।
২. ব্রিটেনে ৫ বছরের বেশি সময় যারা অবৈধ অভিবাসী আছেন তাদের অস্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়া যেতে পারে এই ব্যাপারে একটি নুতুন আইন কার্যকর করা যেতে পারে ।

ব্রিটেন এখন ব্রেক্সিটের কারনে এক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে আছে তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটি বড় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে । বর্তমানে ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী https://www.bbc.co.uk/news/business-47622415 সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক কাজের মধ্যে আছে যা ১৯৭১ সালের পর সর্বোচ্চ রেকর্ড । ব্রেক্সিটের কারনে বিরাট সংখ্যক ইউরোপের নাগরিকরা ব্রিটেন ত্যাগ করেছে আরো অনেকে ব্রিটেন ত্যাগের অপেক্ষায় আছে তাই কর্মক্ষেত্রে শুরু হয়েছে বিরাট কর্মীসংকট তার মধ্যে বাঙালি রেস্টুরেন্টে কর্মী সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশ থেকে কর্মী এনে এই মূহুর্তে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব না দেশ থেকে কর্মী আনলে তাদের শুরু করতে হবে একদম শুরু থেকে কারন তাদের ব্রিটেনে কাজ করার অভিজ্ঞতা নাই । এই মুহুর্তে তাই এই সমস্যার একটি দ্রুত সমাধান হলো ব্রিটেনে দীর্ঘদিন ধরে কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশসমূহের অনিয়মিত /অবৈধ অভিবাসী ( শুধুমাত্র যারা বৈধভাবে এসে পরিস্থিতির কারনে অবৈধ হয়ে গেছে) তাদের বৈধভাবে থাকার সুযোক করে দেয়া কারন বর্তমানে এই কর্মীকি সংকটের সময় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করা এই দক্ষ অভিজ্ঞতাসম্পূর্ণ কর্মীদের কোনো বিকল্প নাই ।

সাবেক লন্ডন মেয়র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ১০-১২ বছরের বেশি অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বৈধতা বিবেচনা করার সেইক্ষেত্রে ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে বসবাসকারী যে সব অনিয়মিত/অবৈধ অভিবাসী আছেন তাদের ব্রিটেনে স্থায়ী বসবাস করার অনুমতি দেয়া এছাড়া যারা ৫ বছরের বেশি সময় ধরে অনিয়মিতভাবে বসবাসকারী আছে তাদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য দশ বছরের রুটে অনুমতি দেয়া এখন সময়ের দাবি ।

কমনওয়েলথভুক্ত এইসব অভিবাসীরা বৈধতা পেলে এরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি ব্রিটেনও উপকৃত হবে কারন ব্রিটেনে বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমানে তীব্র দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে পাশাপাশি সরকারি ট্যাক্স ও বাড়বে কারন এরা বৈধতা পেলে কাজ করবে এবং বিপুল পরিমান সরকারি ট্যাক্স পরিশোধ করবে এছাড়া এদের ফেরত পাঠাতে ব্রিটিশ সরকারের যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয় তা বেঁচে যাবে । তাই নুতুন করে দেশ থেকে লোক না এনে দীর্ঘদিন অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার দাবিটি অগ্রাধিকার দেয়া এখন সময়ের যৌক্তিক দাবি ।

সম্প্রতি ব্রিটেনে একটি পিটিশন যেটি এখনো চলছে যা এক লক্ষর বেশি সাইন হয়েছে https://you.38degrees.org.uk/petitions/please-grant-amnesty-to-already-illegal-immigrants-in-uk?source=facebook-share-button&time=1512606437 এ থেকে প্রমান হয় যে এই ইস্যুটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং এই বিষয়ে জনসমর্থন রয়েছে তাই আসুন আমরা কমিউনিটির সবাই এই ব্যাপারে অতি দ্রুত এগিয়ে যাই এবং সময়ের এই আলোচিত দাবিটি নিজ নিজ এলাকার এমপিদের সাথে যোগাযোগ করে এমপিদের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছে তুলে ধরি ।
হেড লাইনে :ব্রিটেনে নাগরিকত্ব পেতে কমনওয়েলথ দেশভূক্ত অনিয়মিত অভিবাসীদের মানবাধিকার নিয়ে কেন এই বৈষম্য ?

আইন সবলের কাছে খোলা আকাশের মতো সহজ আর দুর্বল অসহায়ের কাছে আইন মাকড়সার জালের মতো কঠিন এই কথাটির সাথে যুক্তরাজ্যের অনিয়মিত/অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের(বৈধভাবে এসে পরিস্থিতির কারনে অবৈধ হয়ে গেছেন )জীবনের বিরাট মিল কারন তাদের কথা বলার জন্য কেউ নাই অথচ ইউরোপের অভিবাসীদের জন্য সব রাস্তাই খোলা যেখানে আগামী ২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের ইউরোপের থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পাঁচ বছরের নীচে যেই সমস্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক বসবাস করছেন তাদের যুক্তরাজ্য ছাড়ার কথা থাকলেও সেখানে বিশেষ আইন করে তাদের জন্য আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয় যাতে তারা সহজে ভবিষ্যতে ব্রিটিশ নাগরিক হতে পারে মানে মাত্র কয়েক বছর সময় যুক্তরাজ্যে বসবাস করে নানারকম বেনিফিট নিয়ে ও কোনো প্রকার ফি না দিয়ে তারা হয়ে যায় যুক্তরাজ্যের নাগরিক অপর দিকে সাবেক ব্রিটিশ কলোনি এবং কমনওয়েলথ দেশের নাগরিক হয়ে বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে এসে নানা কারনে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অবৈধ হয়ে দশ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করে ইংলিশ ভাষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরণের বেনিফিট না নিয়ে সরকারকে ট্যাক্স দিতে রাজি থাকায় পরও বাংলাদেশসহ অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশগুলোর নাগরিকরা অবহেলিত থেকে যায় ব্রিটেনে নাগরিকত্ব পাওয়া থেকে তারা হয়ে যায় অবৈধ অভিবাসী কারন তারা দুর্বল অসহায় তাই তাদের পক্ষে বলার কেউ নাই এইক্ষেত্রে মানবাধিকার বা সমঅধিকার তাদের বেলায় উপেক্ষিত ।

এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমনওয়েলথ দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহন ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিদস্থ যুক্তরাজ্যের পুনর্গঠনে বাংলাদেশিসহ কমনওয়েলথ দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আশা করি তা বিবেচনার সময় এসে গেছে । যখনই অবৈধ অভিবাসীদের সাহায্য করার কথা উঠে তখনই অবৈধ অজুহাতে সবাই তা এড়িয়ে যায় কারন যত দোষ নন্দ ঘোষ কিন্তু তারা এটা দেখে না যে কমিউনিটিতে আরো কত অবৈধ জিনিস আছে যেমন মাদক ও নানা রকম বেনিফিট প্রতারণা এগুলি তাদের কাছে কোনো ব্যাপার না তারা লেগে আছে অসহায় অবৈধ অভিবাসীদের পিছনে।

যুক্তরাজ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ বাঙ্গালী ও তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী,রুপা হক এবং টিউলিপ সিদ্দিক থাকার পরও বেশিরভাগ কেউই এই অসহায় মানুষের কথা বলেনা অথচ সম্প্রতি উইন্ডরুশ ট্রেজেটির ব্যাপারে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ছায়া হোম সেক্রেটারি দিয়ানে আব্বত এমপি ডেভিড লামময় এমপি সহ অন্যান্য আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এমপি ও তাদের কমিউনিটি সরব ছিল যার ফলে এটি সফলতার মুখ দেখেছে এখানে উল্লেখ্য যে প্রাক্তন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন দশ বছরের বেশি যারা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের বৈধতা দেয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে জোরালো সমর্থন করছে কিন্তু আমাদের বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রে তা এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত আমাদের বাঙ্গালী এমপি ও কমিউনিটি যদি এই ইস্যুতে একটু সদিচ্ছা ও সজাগ হয় তাহলে এই ব্যাপারে সফলতা অর্জন করা কঠিন হবে না তারা কেন ভুলে যাচ্ছে এই অসহায় মানুষগুলোও মানুষ এরা পরিস্থিতির শিকার তারাও কারো সন্তান কারও ভাই বোন কারও স্বামী বাবা এবং তাদের উপর তাদের অনেকের পরিবার নির্ভরশীল এরা বৈধতা পেলে এরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি যুক্তরাজ্যেরও উপকার হবে কারন যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমানে তীব্র দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে পাশাপাশি সরকারি ট্যাক্সও বাড়বে ।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে দশ বছরের বেশি সময় ধরে যেই সমস্ত অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছে তাদের বৈধতা দেয়ার জন্য https://petition.parliament.uk/petitions/218729 এ থেকে প্রমান হয় যে এই ইস্যুটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং এই বিষয়ে জনসমর্থন রয়েছে । https://you.38degrees.org.uk/petitions/please-grant-amnesty-to-already-illegal-immigrants-in-uk?source=facebook-share-button&time=1512606437 এ থেকে প্রমান হয় যে এই ইস্যুটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং এই বিষয়ে জনসমর্থন রয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই ।

 

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২৩:০৪ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com