মঙ্গলবার ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

বদলাচ্ছে নামজারি পদ্ধতি, অভিন্ন থাকছে ফি

  |   মঙ্গলবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট

বদলাচ্ছে নামজারি পদ্ধতি, অভিন্ন থাকছে ফি

অভিন্ন ফি রেখে নামজারি পদ্ধতি বদলাচ্ছে সরকার। সে ক্ষেত্রে সময় কম লাগবে ৪৫ দিনের পরিবর্তে ২৮ দিনের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন করবেন সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড)।

সূত্র জানায়, দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে জমির নামজারি ফি জমা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দলিলগ্রহীতা দলিলের তিনটি কপি সাবরেজিস্ট্রি অফিসে জমা দেবেন। তিন কপি দলিলের এক কপি থাকবে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে; এক কপি ফেরত পাবেন জমির নতুন মালিক; অপর কপিটি যাবে এসিল্যান্ডের কাছে। এসিল্যান্ডের কাছে পাঠানো কপির সঙ্গে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের সময় নামজারি ফি বাবদ যে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, তার রসিদ জুড়ে দেওয়া হবে।

সেইসঙ্গে ল্যান্ড ট্রান্সফার (এলটি) নোটিশ জেলা প্রশাসকরা এসিল্যান্ডের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তা প্রতি মাসে প্রতিবেদন আকারে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মাঠ পর্যায়ে সেবা সহজীকরণের জন্য এ ব্যবস্থা নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। কিছু পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেলেও নামজারির ফি অভিন্ন থাকছে।

৩১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রাপ্ত ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, জনকল্যাণের জন্যই আমরা নামজারির সময়সীমা কমিয়েছি। এখন আর হয়রানির সুযোগ থাকবে না।

নামজারি ফি সারা দেশের জন্য অভিন্ন রাখা বিষয়ে সচিব বলেন, আমরা কল্যাণ রাষ্ট্রের নাগরিক। সব ক্ষেত্রে সরকারকে জনগণের কাছ থেকে বেশি পয়সা নিতে হবে বিষয়টি এমন নয়। জমির শ্রেণির পরিবর্তনের বিষয়ে সচিব বলেন, আঞ্চলিক নাম বাদ দিয়ে প্রমিত বাংলায় জমির শ্রেণির নামকরণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নামজারি ভূমি ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এসিল্যান্ড, কানুনগো, তহশিলদার, নাজির এবং অন্য কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন নামজারি ফি কম থাকলেও ২০১০ সালে সাবেক ভূমি সচিব আতাহারুল ইসলাম ৫৪০ টাকা নির্ধারণ করেন। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ১ হাজার ১৫০ টাকা। বর্তমানে এটাই বহাল আছে। সঙ্গে ২০ টাকার কোর্ট ফিও জমা দিতে হয়। নামজারির আবেদন করতে হয় এসিল্যান্ডের দপ্তরে।

সঙ্গে দলিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং ভূমি মালিক কিংবা মালিকদের ছবি জমা দিতে হয়। সহকারী কমিশনারের দপ্তরে আবেদনের কপিটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট তহশিল অফিসে। তহশিল অফিসে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করার সময় ভূমি মালিককে দলিলের মূল কপিসহ নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকতে হয়। তহশিলদার জমির মালিকসহ যাবতীয় বিষয় যাচাই-বাছাই করে এসিল্যান্ডকে নির্ধারিত ফরম ও ছবি সংবলিত লিখিত নামজারি প্রস্তাব পাঠান।

পরবর্তী সময় আবেদনটি নামজারি প্রস্তাব আকারে এসিল্যান্ড অফিসে পাঠানো হয় এবং কানুনগোর মাধ্যমে এসিল্যান্ডের কাছে নামজারির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। এসিল্যান্ডের অনুমোদনের সময়ও ভূমি মালিককে দলিলের মূল কপিসহ এসিল্যান্ড অফিসে উপস্থিত থাকতে হয়। এসিল্যান্ড নামজারির প্রস্তাবটি অনুমোদন করার পর নামজারি প্রস্তাবের শিটটি আবার তহশিল অফিসে পাঠানো হয়। ওই সময় ভূমি মালিককে নামজারি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংক্রান্ত নামজারি প্রস্তাবের মূল শিটটি দেওয়া হয়। ওই নামজারি প্রস্তাবের শিটে জমির মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি থাকে এবং ভূমি মালিক ওই শিটটি সংরক্ষণ করবেন।

বিডি২৪লাইভ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩৩ | মঙ্গলবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com