| মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের আলোচনায় থাকা গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনকে ‘ভাড়াটে নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। বলেছেন, ‘আমরা এতদিন দেখেছি খেলার সময় খেলোয়াড় ভাড়া করা হয়। এখন দেখছি ড. কামাল হোসেনের মত নেতারাও ভাড়ায় যাচ্ছেন।’
বিএনপিকে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে খেলবেন খেলেন কোন সমস্যা নেই ভাড়াটে খেলোয়াড় দিয়ে কি কখনো জয় পাওয়া যায়! যায় না । যাদের নিজেদেরই কোন অস্তিত্ব নেই তারা অন্য দলে গিয়ে কি অস্তিত্ব পাবে?’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর ১৪ দলের সমাবেশ প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন নাসিম।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে কামাল হোসেনের গণফোরাম এবং তৃতীয় শক্তি হওয়ার বাসনায় থাকা যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য গড়তে চাইছে বিএনপি যাকে তারা ‘জাতীয় ঐক্য’ বলছে। বিএনপি কামাল হোসেনকে নেতা মেনেছে বলে একটি প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করেছে। আর বিএনপি এর কোনো সমালোচনাও করেনি।
এর মধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে কামাল হোসেনের আলাদা এক উদ্যোগের সমাবেশে যোগ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা।
নাসিম বলেন, ‘আপনারা (যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা) বর্ণচোরা। আপনাদের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই। আর বিশ্বাস করি আপনাদের কর্মীদেরও আস্থা আপনাদের প্রতি আস্থা নেই।’
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে এটা সফল হবে না বলেও জানিয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এখানে যে কোন দল অংশগ্রহণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক হলো, ওই সমস্ত চেনামুখগুলো যখন গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠে নামে এদেশের মানুষের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়।’
‘যখনই এদেশে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই হয়েছে, এই চেনামুখগুলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নামে সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করা হচ্ছে দাবি করে নাসিম বলেন, ‘সকলের মনে আছে ২০০১ সালে কীভাবে একটি দলকে পরাজিত করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। পৃথিবীর কোন দেশে তাদের সেনাবাহিনীকে এভাবে ব্যবহার করা হয় না। আমরা দেখেছি কীভাবে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অতীতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।’
Posted ১৫:৪১ | মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain