বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

৮৮ বছর বয়সেও দলের কর্তৃত্ব চান এরশাদ

  |   শুক্রবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট

৮৮ বছর বয়সেও দলের কর্তৃত্ব চান এরশাদ

একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিতে কৌশলে কাজ করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। আগামী নির্বাচন এরশাদের জীবনের শেষ নির্বাচন। শেষ জীবনে রওশনকে সরিয়ে জাতীয় পার্টিতে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান সাবেক এই সেনা প্রধান। নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ, প্রার্থী চূড়ান্ত করাসহ নির্বাচনের সবকিছুই তিনি এককভাবে করতে চান। অভিযোগ রয়েছে, এ মিশনের নেপথ্যে কাজ করছেন দলের বর্তমান মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এরশাদের একান্ত সচিব মেজর অব. খালেদ আকতার, প্রেস সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়। রওশন এরশাদের অগোচরে এসব নেতার পরামর্শেই এ কাজ করছেন এরশাদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রভাবশালী নেতা জানান, বয়সের ভারে নুয্য এরশাদকে সহজে ভুল বুঝিয়ে যা ইচ্ছা করা যায়, কিন্তু বিরোধী দলীয় নেতাকে সেটা করা যায় না। পছন্দ না হলে দল থেকে বাদ দেওয়া, বিত্তশালী কাউকে পাইলে দলের পদ পদবিসহ নমিশনও দিয়ে দেওয়া, এমনি ভুল বুঝিয়ে বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে খেপানো যায় তাকে। এরই অংশ হিসেবে দলের মহাসচিব, সাবেক মহাসচিবসহ শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিজেদের পছন্দ- অপছন্দে এরশাদকে দিয়ে এই গোপন প্রার্থী বাছাই করেছেন। দলের ত্যাগী অনেকেই বাদ পড়েছেন। আবার বিতর্কিতরা সুযোগ পেয়েছেন। নেতাকর্মীরা চেনে না, নামও জানে না এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে এরশাদের গুডবুকে। এর পেছনে বড় ধরণের বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেন তিনি।

দলের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি নির্বাচনে আসলে একাদশ নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করবেন এরশাদ। এজন্য তিনি আগে ভাগেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চৌদ্দদলীয় জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছে একশ আসন চাইবেন, যদি সম্ভব না হয় কমপক্ষে ৭০টি আসন দাবি করবেন তিনি। সেই হিসাব মাথায় রেখে তৃণমূলের মতামত ছাড়া রওশন এরশাদকে না জানিয়ে গোপনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছেন দলের চেয়াম্যান।

গতনির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় দশম নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন কর্তৃত্বহীন। স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয় জাপা। দলের সব মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন রওশন। এতে এরশাদের পছন্দের অনেক প্রার্থী বাদ পড়ে যান। এমপি হয়ে যান রওশন ঘনিষ্ট বেশ কিছু নেতা। নির্বাচন শেষে বিরোধী দলীয় নেতাও হন রওশন। বিষয়টি তিনি মন থেকে মেনে নেননি। এসব বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ দীর্ঘদিনের। উপায় না দেখে মাঝে মাঝে স্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেও তার উপর নাখোশ ছিলেন এরশাদ। সর্বশেষ দলীয় ২ দিনের প্রশিক্ষন কর্মশালায় দেখা যায়নি রওশনকে।  আমাদের সময় ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:৫৯ | শুক্রবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com