| বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট
মাত্র ৩ বছর বয়সী সাদা কালো রঙের ‘বড় সাহেব’। নড়া-চড়া কিংবা ওঠা-বসা অনেকটা সাহেবদের মতোই। সেজন্য নাম রাখা হয়েছে বড় সাহেব। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় গরুটির নাম এখন সবার মুখে মুখে।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে বড় সাহেবকে হাটে তুলছেন তার মনিব শরীফুজ্জামান। বড় সাহেবের ওজন প্রায় ৩৬ মণ। গরুটির দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। তবে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আলোচনার মাধ্যমে দাম কিছুটা কম হলেও বড় সাহেবকে বিক্রি করে দেবেন শরীফুজ্জামান।
খামারি শরীফুজ্জামানের বাড়ি ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। প্রবাস ফেরত এই খামারি গত ৩ বছর আগে বসত বাড়ির ভেতরে জামান এগ্রো নামে একটি খামার তৈরি করেন। শুরুর দিকে খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের ৩টি ষাঁড় বাছুর আনেন শরীফুজ্জামান।
সাদা কালো রঙের বড় সাহেবের সেবা যত্ন দুইজন শ্রমিক কাজ করেন। প্রাকৃতিক নিয়মে দানাদার খাদ্য ও নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয় বড় সাহেবকে। প্রতিদিন বড় সাহেবের খাবার লাগে প্রায় ৪০ কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২শ টাকা। বিশাল দেহের বড় সাহেবকে দেখতে প্রতিদিনই উৎসুক জনতা এসে খামারে ভিড় করছেন।
শরীফুজ্জামানের খামারে কালো রঙের ‘ছোট সাহেব’ নামেও একটি ষাঁড় গরু রয়েছে। আর এই ছোট সাহেবের দর হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
খামারি শরীফুজ্জামান জানান, ভৈরবে বড় সাহেবই সবচেয়ে বড় গরু। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বড় সাহেব বেড়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত বড় সাহেবের দাম উঠেছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। আলোচনার মাধ্যমে কিছু টাকা কমে বিক্রি করে দেব।জাগোনিউজ২৪.কম
Posted ১২:৩৮ | বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain