| শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
১৯৭১ সাল থেকেই জোসনা বেগম থাকেন দক্ষিণ শাহজাহানপুরে। সেদিন প্রচন্ড গোলাগুলি হচ্ছিল। বিছানায় বসে থাকা জোসনা লুটিয়ে পড়েন গুলি খেয়ে। দুইটি গুলি তাদের কাঁচাবাড়ির দেয়াল বা জানালা ভেদ করে শরীরে বিদ্ধ হয়। বুকের গুলিটি যে তিনি এতদিন ধরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন, এটা প্রথমে বিশ্বাসই করেননি। ওইদিন একটি গুলি অপারেশন করে বের করা হয়েছিল, সবাই তাই ভেবেছে আর কিছু নেই। ১৯৭১ বা তার পড়ে আর বুকের এক্সরে ও করা হয়নি।
ডিউটিতে আছি জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এর জরুরি বিভাগে। দুপুরবেলা দাদীর মতো বৃদ্ধা আসলেন। কাশির সাথে রক্ত নিয়ে। বুকের এক্সরে করে পাওয়া গেল বুলেট। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলি। দুইটা গুলির একটি সেদিন অপারেশন করে বের করা যায়নি। এতদিন কোন সমস্যা করেনি। আজ কাশি জানান দিল, নির্মম বুলেটটি আজও রক্ত ঝরাচ্ছে।
জোসনা বেগম, বয়স এখন ৮০বছর প্রায়। এই বয়সে অপারেশন করে গুলিটি বের করা হয়ত সম্ভব হবেনা। তিনি যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধা সনদও তার নেই। হয়ত অনেক যুদ্ধাহত তার মতো স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বুকের সিটিস্ক্যান করে দেখা হবে, মেডিকেল বোর্ড সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের এই যুদ্ধাহত এর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ঘটনার ভয়াবহতা কল্পনা করে শিহরিত হলাম। সূত্র: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বক্ষব্যাধি চিকিৎসক
Posted ১৬:১১ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain