| মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
জাতীয় ঐক্যের তরফ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার’ গঠনের দাবি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কার্যালয়ে আয়োজিত পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ১৪ দলের নেতারা এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে আমরা প্রত্যয় ঘোষণা করছি। আমরা আরও প্রত্যয় ঘোষণা করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন হবে। যে সব হতাশ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাজনীতির নামে চক্রান্ত শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা আরও প্রত্যয় ঘোষণা করছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তারা এ বাংলার মাটিতে কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
অক্টোবরে সারাদেশে ১৪ দলের প্রতিনিধি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে নাসিম বলেন, আমরা এই মুখোশধারী অপশক্তিকে জনগণের সামনে তুলে ধরবো সমাবেশের মাধ্যমে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের দেশের সব আন্দোলনে পেশাজীবীরা অবদান রেখেছেন। আপনারা মনে রাখবেন, এবার যে নতুন ষড়যন্ত্রটা দেশে তৈরি হয়েছে তা বেশ গভীর। ড. কামালসহ ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’র নেতাদের উদ্দেশ্য করে মেনন বলেন, তারা নিজেরাই নিশ্চিত নন যে তারা কী নিয়ে আন্দোলন করবেন। কারণ তাদের ইস্যু অনেক। আর ড. কামাল তাদের সঙ্গেই আছেন, যারা দেশের মঙ্গল চান না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মেনন বলেন, আমরা বিএনপির আমলে কোনো টকশোতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। এখন তো তা হচ্ছে না।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আমরা চাই না মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিপক্ষে রাজাকারদের অবস্থান থাকুক। জাতীয় ঐক্য নামে একটি জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অনেক জঞ্জাল দূর করেছি। এক্ষেত্রেও আমরা সফল হবো। এসব জঞ্জাল জঙ্গিবাদী শক্তির একটি মুখোশ। তারা যতোই ভালো কথা বলুক না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে মানে না বিএনপি। তাদের সঙ্গে ড. কামাল যোগ দিলেন। এটা নির্বাচন বানচাল করার একটি ফাঁদ। এই ফাঁদে পা রাখলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। কারণ এরকম চক্রান্তকারীদের হাতেই বঙ্গবন্ধু খুন হয়েছিলেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে আমাদের।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, আব্দুর রহমান, সাম্যবাদী দলের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়া
অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী আবদুস সবুর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পেশাজীবীরা।
Posted ২১:২৫ | মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain