বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

১২ বছর ক্ষমতায় নেই, ক্যাসিনো চালু কীভাবে করল বিএনপি?

  |   রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট

১২ বছর ক্ষমতায় নেই, ক্যাসিনো চালু কীভাবে করল বিএনপি?

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অভিযান শুরুর পর থেকে ক্ষমতাসীনদের থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ার কারণে সরকারের লোকজন গলাবাজি শুরু করেছে। তাদের নিজস্ব কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন মিডিয়া ব্যবহার করে বিএনপির নামে, দেশনায়ক তারেক রহমানসহ নেতৃবৃন্দের নামে আজগুবে আষাঢ়ে গল্প প্রচার করছে। এটা সর্বজনবিদিত যে, মাত্র ৭-৮ বছর আগে এই ক্যাসিনো কালচার আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতারা বাংলাদেশে আমদানি করেছে।

তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, গত ৯ বছর ধরে খেলনার আড়ালে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি হয়েছে জুয়া ও ক্যাসিনোর পণ্য। এ কাজে জড়িত ৬টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আমদানিকারক আর এই সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষমতাসীনদের। বিএনপি তো ১২ বছর ক্ষমতায় নেই। তাহলে কীভাবে ক্যাসিনো চালু করল বিএনপি?

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শেষ করে দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-যুবলীগের মাঝারি নেতাদের ঘরে ঘরে অবৈধ টাকার সিন্দুক, ভল্ট, টাকশাল, কাড়িকাড়ি টাকা, সোনা-দানার খনি আবিষ্কার হওয়ার পর বড় নেতারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চারদিক থেকে যখন রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি জোরালো হচ্ছে তখনই থামিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযান। রাঘব বোয়াল ও দুর্নীতির রথী-মহারথীদের সুতোর টানে এগোতে পারছে না অভিযান।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের নেতারা বলছেন, “সুশাসনের আমেজ দিতেই না কি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান! সরকার দেশকে হরিলুটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে, ক্যাসিনোর চেয়েও বড় দুর্নীতি হয় পরিবহন সেক্টরে-কেবল রাজধানীতেই প্রতিদিন ১০-১২ কোটি টাকার চাঁদা ওঠে। অথচ সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাসীন নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই দুর্নীতি, মাদক, জুয়া ও কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে ‘কম্বিং অপারেশন’ চালাতে চাইলে বিনাভোটের অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকার যদি মাথার ওপর বসে থাকে, তাহলে সেটি জনগণের কাছে নাটক ছাড়া অন্যকিছু মনে হবে না।”

আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, তাদেরকে এখন নানারকম মিথ্যাচার এবং ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে হচ্ছে। অভিযানের নামে কয়েকটা চুনোপুঁটি ধরার পর জনগণের সামনে দুর্নীতিবাজ সরকারের আসল চেহারা উম্মোচিত হয়ে পড়ায় নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রীরা এখন স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। তবে দুর্নীতিবিরোধী কথিত অভিযানে সরকারের দুর্নীতি আর অনাচারের নগ্ন চেহারাই উম্মোচিত হয়নি, এই সরকার নিজেদের দলীয় স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘কতটা অথর্ব অপদার্থ প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত করেছে, তারও নির্ভেজাল প্রমাণ মিলেছে।

সরকারের উদ্দেশে সাবেক ছাত্রনেতা রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে, দুর্নীতির জন্য অন্যদল থেকে আওয়ামী লীগে যাওয়া লোকজন দায়ী, তাহলে সরকারের উচিত এক সপ্তাহের মধ্যে সেসব দুর্নীতিবাজদেরকে তাদের দল থেকে জরুরি ভিত্তিতে খুঁজে বের করা। সত্যি সত্যি দুর্নীতিবাজ ধরতে চাইলে, চুনোপুঁটি নয়, দুর্নীতির সম্রাটদের ধরুন, তাদের রক্ষক রাজা-রানি-বাদশাহদের ধরুন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনাদের গায়ের পোশাকটি দলীয় পোশাক নয়। এটার সম্মান রক্ষা করুন। আওয়ামী লীগের কাছে বিশ্বস্ত হওয়ার দরকার নেই। রাষ্ট্র ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকুন। জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন। এক পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল আমিন যেভাবে পোশাকের মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তার কাছ থেকেও আপনাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, মতিয়া চৌধুরী একজন সিনিয়র রাজনীতিক, তারপরও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, তিনি ‘বস্তির কর্মীর’ মতো কথা বলছেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহামুদেরও সমালোচনা করেন তিনি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩১ | রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com