বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে এবার আয়া তাসলিমা ও নার্স ফিরোজার গোপন ব্যাবসা ফাঁস !

  |   বুধবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট

হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে এবার আয়া তাসলিমা ও নার্স ফিরোজার গোপন ব্যাবসা ফাঁস !

Pic (6)
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়া তাসলিমা ও নার্স ফিরোজা খাতুনের গোপন ব্যাবসা ফাঁস হল। নার্স ফিরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে রোগী ভাগিয়ে অন্যত্র সিজার করারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সরকারী হাসপাতাল কাদের জন্য ?

অভিযোগ পাওয়া গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নার্স ফিরোজা খাতুন হরিণাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসুতিদের কোন চিকিৎসা নেই এমন কথা বলে গর্ভবতি নারীদের ভাগিয়ে স্থানীয় আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে সিজার করাতে প্রলুদ্ধ করেন। এ ধরণের কমিশন বানিজ্য তার নতুন নয়। গর্ভবতি নারীরা জরুরী নেবা নিতে আসলেই তাকে ফুসলিয়ে আনোয়ারা ক্লিনিকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।

১৮ই জানুয়ারী বুধবার হরিণাকুন্ডুর বোয়ালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী আছিয়া বেগম সন্তান প্রসবের জন্য হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। এ সময় নার্স ফিরোজা তাকে হাসপাতালের সেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আছিয়াকে নিকটস্থ আনোয়ারা ক্লিনিকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে নার্স ফিরোজা খাতুন জানান, তিনি আছিয়া খাতুনকে আট্রাসনো করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তিনি রোগী ভাগানোর সাথে জড়িত নয়। এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়া তাসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রসুত মায়েদের কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা করে আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে আয়া বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করেন।

রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হরিণাকুন্ডুর ভেড়াখালী গ্রামের নাজমা খাতুন সন্তান প্রসবের জন্য আসেন। সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর তার কাছ থেকে জোর করে ৫০০ টাকা নেন। একই ভাবে হরিশপুরের শাহনাজ, মনোহরদিয়া গ্রামের বিথি খাতুন, কালাপাড়িয়া গ্রামের রোখসানা, কুলবাড়িয়া গ্রামের সুরভি খাতুন ও মাগুরার খাদ্য কর্মকর্তা হাসানের স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, হুইল পাউডার ও সাবান জোর করে আদায় করেন।

প্রতিবাদ করলে আয়া তাসলিমা খাতুন রোগীর স্বজনদের সাথে ঝগড়াঝাটি এবং গালিগালাজ করেন। এমনকি নার্সরা প্রসুতিদের সেবা করার জন্য বেডে আসতে চাইলেও আয়া তাসলিমা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে প্রসুতি মা ও স্বজনরা বিপদে আছেন।

আয়া তাসলিমার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে রোগীরা সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে আয়া তাসলিামা খাতুন জানান, আমার কোন সরকারী বেতন নেই। রোগীদের কাছ থেকে বখশিস নিয়ে আমার সংসার চলে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২১:৫৭ | বুধবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com