শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় : আলাল

  |   মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় : আলাল

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। মঙ্গলবার  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। স্বাধীনতা তো কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। সেজন্য সরকারি দলও পালন করছে, সাবেক সরকারি দল ও বর্তমান দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসেবে বিএনপিও পালন করছে। কিন্তু আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে, এটা সুবর্ণ জয়ন্তী না। এটাকে সরকার রাজনীতিকীকরণ করে ফেলায় এর রং নষ্ট হয়ে গেছে, সেটাকে বলে বিবর্ণ। বিবর্ণ জয়ন্তীর কারণে এটার যে সৌন্দর্য তা নষ্ট হয়ে গেছে। এটার যে সার্বজনীনতা, সবার অংশগ্রহণ, তা নষ্ট করে ফেলেছে সরকার।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আল জাজিরা আপনাদের নাকাল করে ফেলেছে, তার জন্য তো আমরা দায়ী না। আল-জাজিরা আপনাদের এমন জায়গায় আঘাত দিয়েছে যে আপনারা ভয়ে আঁতকে উঠেছেন। দেশের মানুষকে ভয় পান না। বিদেশি গণমাধ্যমকে ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়ে কী করা যায়? এরপর তারা এমন একটা জায়গায় হাত দিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের হৃদপিন্ডে আঘাত করেছে। এমন একটা জায়গা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই নেতা, যার ছবি বাধাই করার জন্য কোনো আইন করা লাগে নাই বিএনপির। এই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সংসদে আইন পাস করেছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙলে এত হাজার টাকা জরিমানা, এত বছর জেল। এবং ছবি পাহারা দেয়ার জন্য পুলিশ, বিডিআর এবং অন্যান্য বাহিনীকে নিযুক্ত করেছিল যাতে তার ছবি ভাঙচুর না হয় কোথাও। আর জিয়াউর রহমান সেই নেতা যার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা লাগে না। যেটা আওয়ামী লীগ করেছে ১৫ আগস্টকে। জিয়াউর রহমান সেই নেতা যার ছবি দেশের মানুষের হৃদয়ে বাঁধাই করা রয়েছে। সেই জায়গায় হাত দিয়েছেন। সেই জায়গায় হাত দিলে মানুষের দৃষ্টি অন্য জায়গায় ফেরানো যাবে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) কিছুটা সফল হয়েছেন।’

আলাল বলেন, ‘এই প্রস্তাবটা তুলেছিলেন শাজাহান খান আর তা সমর্থন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল। শাজাহান খান গণবাহিনীর লোক। শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকা অবস্থায় জাসদের তৈরি এই গণবাহিনী অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে।’

১৯৭২ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়েছিল মন্তব্য করে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘নোয়াখালীর চাটখিল থানা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে ৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এই শাজাহান খানের গণবাহিনীর দল। নবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক মাস্টার, দোহার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুনির্মল সিং, এরকম অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে শাজাহান খানের লোকেরা। যারা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের লোক ছিল।’

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:০৭ | মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com