| রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার মোগলটুলীতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করায় নতুন নামের (মোগলটুলী উচ্চ বিদ্যালয়) ওপর কালি মেখে দিয়েছে বিএনপির একদল নেতাকর্মী।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা স্কুলের গেটের ওপরে উঠে নতুন নামের ওপর কালি মেখে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদকর্মী জানান, রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপির একটি মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা গিয়ে স্কুলের তোরণে উঠে কালি মেখে দেয়।,
একাধিক বিএনপির কর্মী জানান, রবিবার সকালে বংশাল মোড় থেকে মিছিল শুরু করে নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মোগলটুলী এলাকায় বিদ্যালয়টির সামনে যায় তারা। সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থকরা। এই সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নামফলক মুছে দেয়। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। এছাড়া সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনও মিছিলে ছিলেন।,
বিক্ষোভ মিছিলটি পরে নবাবপুর সড়কে গিয়ে পথসভা করে। সেখানে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিদ্যালয় থেকে নাম পরিবর্তন করলেই জিয়াউর রহমানের নাম মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। এই ধরনের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা চলবে।’
পথসভায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জানান, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকা ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ জিয়াউর রহমানের নামে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।,
এই প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের সূচনা হয় ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। বিমানবন্দরের নাম ছিল জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এরপর সারাদেশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়।’
শায়রুল কবির জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এই বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিগত ১২ বছর শত চেষ্টা করে ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠী জনগণের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলতে পারেনি, কখনও পারবেও না। জিয়াউর রহমান গণমানুষের নেতা, দেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক। গণমানুষের কল্যাণে তার রাজনীতি ও কর্মসূচির জন্য তিনি গণমানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার নাম যারাই মুছে ফেলার চেষ্টা করবে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’,
প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়ার নাম সরিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
Posted ১৭:১৭ | রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain