বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে মাছের ম্যুরাল

  |   বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট

সেন্টমার্টিনে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে মাছের ম্যুরাল

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতে পড়ে থাকা বিভিন্ন প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে কোরাল মাছ ও কচ্ছপের একটি জনসচেতনতামূলক ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) আর্থিক সহায়তায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদ ম্যুরালটি তৈরির উদ্যোগ নেয়।

 

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক, স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দাদের যত্রতত্র ফেলা বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্যসমূহের মধ্যে প্রধানত নষ্ট জাল, প্লাস্টিক বোতল ও চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট দিয়ে ম্যুরালটি তৈরি করা হয়েছে। ম্যুরালটি তৈরিতে সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

 

শেকৃবির ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ আমাদের দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। প্রতিবছর শীতকালে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন, যাদের অনেকেই হয়তো জানেন না এই দ্বীপের সমুদ্রতলে লুকিয়ে আছে বিচিত্র সব বর্ণিল ও মনোরম প্রাণী ও উদ্ভিদ। অপরিকল্পিত পর্যটন, দূষণ, মাছ ও প্রবালের আবাসস্থল ধ্বংস, অবকাঠামো নির্মাণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। বিভিন্ন প্লাস্টিক বর্জ্য, ছেড়া জাল ও নাইলন বস্তা নিক্ষেপে এসব চূড়ান্তভাবে সাগরের পানিতে চলে যায়, যার অনেকাংশ পানির নিচে প্রবালের উপর জমা হয়ে প্রবাল প্রতিবেশ বিনষ্ট করে।’

 

পরিবেশ দূষণের হাত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাঁচানোর উদ্যোগ হিসেবে শেকৃবি একটি গবেষণা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে। এতে সৈকত ও সমুদ্র তলদেশে প্লাস্টিকের ধরন ও পরিমাণ নিরূপণ করে এর থেকে পরিত্রাণে সম্ভাব্য উপায় সম্বলিত একটি রূপরেখা ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করে সরকারকে দেওয়া হবে বলে জানান ড. হাবীব।

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সংলগ্ন প্রবাল প্রতিবেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এটিকে গত ৪ জানুয়ারি সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল বা মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া হিসাবে ঘোষণা করেছে। ইতিপূর্বে ১৯৯৯ সালে এই দ্বীপকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া বা প্রতিবেশগতভাবে সঙ্কটাপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:০৮ | বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com