শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাশাসক নয়, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

সেনাশাসক নয়, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে: মঈন খান

বাংলাদেশে কোনো সেনাশাসক গণতন্ত্র হত্যা করেনি। নিজেদের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করে আসা আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় বসে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বলে বেড়ান, বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে নয়, জনগণের মাঝেই। যদি তর্কের খাতিরে ধরেই নিই, তাদের কথা সত্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে নয়। এ দলটি কেন বার বার দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে?’

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া প্রজন্মদল এ সভার আয়োজন করে।

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে আওয়ামী লীগের ভূমিকা কী ছিল? তাদের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সেদিন তো ছিল না। তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে দেশে তো মুক্তিযুদ্ধই হতো না, হতো গৃহযুদ্ধ। জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই পালিয়ে যাননি। সম্মুখযুদ্ধেও নেতৃত্ব দিয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন।

 

দেশে রাজনীতির রেশ বলতে কিছু নেই দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশে লিখিত বাকশাল ছিল। এখন অলিখিত বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যা হুকুম করে, জনগণকে তা মানতে বাধ্যও করে। ক্ষমতাসীনদের অস্বাভাবিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিতে হবে।

 

আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বাইরে কি স্বাধীনতার জন্য কেউ রক্ত দেননি? শ্রমিক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে গণতন্ত্রকে বস্তাবন্দি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল। আজকেও দেশে একই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এ দলটি।’

 

দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সংসদ আজকে আওয়ামী লীগের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এমপিরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলছেন না। তারা শুধু শেখ হাসিনার বন্দনা করেন।

 

জিয়া প্রজন্মদলের চেয়ারম্যান শাহীনুর মল্লিক জীবনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। সভা সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রুবেল।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৪৪ | মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com