বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিমকোর্টে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় যুক্তরাজ্যের জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের ধিক্কার

  |   বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট

bnp-law

লন্ডন প্রতিনিধি : দেশের সর্বোচ্চ আদালত আওয়ামী জঙ্গিদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় ধিক্কার জানিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা বলেছেন, ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার পৈশাচিকভাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর হত্যা, গুম, নির্যাতন, গ্রেফতার, লুণ্ঠন, বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বুলডোজাড় দিয়ে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে এমনকি নারী ও শিশুদের অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকে হার মানিয়েছে অনেক আগেই।
তারা আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবির পাশাপাশি ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোর প্রতি আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

লন্ডনের স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদে আদর্শে বিশ্বাসে প্রবাসী আইনজীবীরা আরও বলেন, দেশ আজ এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে, আধুনিক মারণাস্ত্রের গুলিতে কাতরাচ্ছে দেশপ্রেমিক জনতা, লুণ্ঠিত হচ্ছে মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব, বঞ্চিত করা হচ্ছে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থেকে।
শেখ হাসিনার সরকার আগামী ৫ জানুয়ারি (২০১৪ সাল) তথাকথিত সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চলেছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইশতেহার ঘোষণার আগেই ১৫৪টি তথা অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিবতায় নির্বাচিত হয়েছে। এর মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের ভোটকে অবমাননা করা হয়েছে। জাতিসংঘসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের সব আহ্বান সত্ত্বেও কোটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের দ্বারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখা ও প্রভুর স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইনজীবীরা বলেন, একদলীয় নির্বাচন ও স্বৈরতন্ত্রকে না বলতে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অংশগ্রহনণমূলক নির্বাচনকে হ্যাঁ বলতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামী ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন বাতিলপূর্বক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে March For Democracy শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন থেকে গদি হারানোর আশঙ্কায় পাগল প্রায় সরকার অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে দলীয় সন্ত্রাসী, অচেনা সশস্ত্র অনেক মুখ ও যৌথবাহিনীকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর লেলিয়ে দেয় যা ছিল গণতন্ত্রের ওপর এক ছুরিকাঘাত।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ভারতের দালাল, আকণ্ঠ দুর্নীতিবাজ স্যাডিস্ট সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের ওপর ছাত্র-যুবলীগের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ধিক্কার জানানো হয়।

এমনকি সরকারের লেলিয়ে দেয়া আওয়ামী জঙ্গি বাহিনী কর্তৃক একজন বর্ষীয়ান মহিলা আইনজীবী তাদের লাথি, ঘুষি আর লাঠিপেটা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছে সারাবিশ্ব। মাটিতে ধরাশায়ী ওই যন্ত্রণাকাতর নারীর স্পর্শকাতর অঙ্গে হামলে পড়েছিল হায়েনার মতো নষ্ট প্রজন্মের জয়বাংলা স্লোগানধারী কয়েক যুবক। এমনকি তার পরের দিনও আওয়ামী মহিলা লীগের নেতৃত্বে আক্রান্ত হয়েছে সুপ্রিমকোর্ট যা বাংলাদেশে কেন সারাবিশ্বেই বিরল একটি ঘটনা বলে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় হতবাক, বিস্ময় ও আতঙ্ক প্রকাশ করে আইনজীবীরা বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সব জাতীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধংস করে আধিপত্যবাদি ভারতের একটি স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে তার প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতির পদত্যাগ করা উচিত।
জুলুমবাজ সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ জয় করেছিল উল্লেখ করে বলেন, ঠিক তেমনিভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ডাকে দেশপ্রেমিক সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লেন্দুপ দর্জি টাইপ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সহধর্মিণী ড. প্রফেসর শাহেদা রফিক, ব্যারিস্টার তমিজউদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলিমুল হোক লিতন, ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন, ব্যারিস্টার মজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল হাসানাত, অ্যাডভোকেট নাসরিন আকতার, অ্যাডভোকেট নাসের খান অপু, ব্যারিস্টার আবু ইলিয়াস, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর আলম, ব্যারিস্টার হাফিজুর রহমান, মাহি আরমান রফিক, ব্যারিস্টার নুরুন্নবি, অ্যাডভোকেট নাজমুল করিম মুক্তা, ব্যারিস্টার শজিদুজ্জামান শহীদ, অ্যাডভোকেট জাকির, রেজাউল করিম, কুমকুম প্রমুখ। এ সময় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৮:২৮ | বুধবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com