| সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
সুদানে নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার দারফুর অঞ্চলে চরমপন্থিদের আক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ জনে। আহত হয়েছেন ১৬০ জনের বেশি। এর মধ্যে অসংখ্য নারী এবং শিশু আছে।
জাতিগত বিরোধ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ সুদান থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা ঘটায় উদ্বেগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। খবর ডয়চে ভেলের
সুদানের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক শরণার্থী শিবির আছে। জাতিগত দাঙ্গায় বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ আশ্রয় হারিয়ে এই ক্যাম্পগুলিতে এসে থাকেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার দারফুর অঞ্চলে তেমনই একটি ক্যাম্পে দুই ব্যক্তির মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তাদের জাতিগত পরিচয় আলাদা ছিল। সাময়িক হাতাহাতির পর সংঘর্ষ আরো বাড়ে। এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবার প্রথমে ভিন্ন জাতির গ্রামে আক্রমণ চালায়। তার সুযোগ নেয় চরমপন্থিরাও। গ্রামের পর গ্রামে আক্রমণ চালাতে শুরু করে তারা। নারী, শিশু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি।
ঘটনার কথা প্রচার পেতেই আরো বেশ কিছু ক্যাম্পেও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রশাসনে জানিয়েছে, রবিবার মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৬০ জন। সোমবার আহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। মৃত এবং আহতদের মধ্যে বেশ কিছু নারী এবং শিশু আছে।
এ দিকে কিছুদিন আগেই সুদানে একনায়ক সরকারের পতন হয়েছে। নতুন সরকারকে গণতান্ত্রিক বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। তাদের নেতৃত্বে সুদানে ১৩ বছরের জাতিদাঙ্গা বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছিল। বস্তুত, নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পরই সুদান থেকে নিরাপত্তরক্ষী সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। তারপরই এই ঘটনা।
সুদানের সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের বক্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনী চলে গেলে চরমপন্থিদের তাণ্ডব আরো বাড়বে। এমনিতেই বহু মানুষ সব হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে থাকেন। সেখানেও চরমপন্থিরা আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হয়নি।
Posted ১৬:৪২ | সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain