শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সাড়ে তিন বছরে ১১ কোটি টাকা সরিয়েছেন সাহেদ

  |   বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট

সাড়ে তিন বছরে ১১ কোটি টাকা সরিয়েছেন সাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করা হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, সাহেদ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতারণা ও জালিয়াতি করে সাত কোটি ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া করোনার ভুয়া পরীক্ষা ও জাল সনদ দেওয়ার মাধ্যমে সরিয়েছেন তিন কোটি ১১ লাখ টাকা। সাহেদ, মাসুদ পারভেজ ও অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন পরস্পর যোগসাজশে সাড়ে তিন বছরে মোট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ২ (শ), ৫ ও ৬ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। এসব অপরাধের অভিযোগে মোহাম্মদ সাহেদ ও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর এবং ভোগবিলাসে অর্থ ব্যয় করার অপরাধে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম (ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম) বিভাগ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ এ মামলার তদন্ত করবে।

সিআইডি সূত্র জানায়, সাহেদ তার অপরাধকর্মের প্রধান সহযোগী মাসুদ পারভেজের সহায়তায় রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড নামে ঢাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাহ মখদুম এভিনিউ শাখায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। হিসাবটি পরিচালনা করতেন সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও এমডি মাসুদ পারভেজ। অপরাধলব্ধ আয় লেনদেনের সুবিধার্থে তিনি রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কে.সি.এস. লিমিটেড ও অন্যান্য অস্তিত্বহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেছেন। হিসাবগুলো খোলার সময় কেওয়াইসি ফরমে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান বা স্বত্বাধিকারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। সাহেদের পক্ষে হিসাবগুলো প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা করেছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর এমডি মাসুদ পারভেজ।

লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নগদ টাকা হিসাব নম্বরগুলোয় জমা করা হয়েছে। ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে সর্বমোট ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা জমা এবং এর মধ্যে ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে হিসাবগুলোয় বর্তমান স্থিতি দুই কোটি চার লাখ টাকা; এর মধ্যে ৮০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমা হয়েছে তিন কোটি ৯৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। তোলা হয়েছে তিন কোটি ৯৮ লাখ টাকা। স্থিতি পাঁচ হাজার টাকা। সূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৩০ | বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com