শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাহেদ-সাবরিনাদের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন: রিজভী

  |   সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট

সাহেদ-সাবরিনাদের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন: রিজভী

রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধারদের ‘নৈপথ্য গডফাদাররা কেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে’তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার দুপুরে করোনা প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে বিএনপির এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সাহেদের (মো. সাহেদ) কেলেংকারি, জেকেজির চেয়ারম্যানের (সাবরিনা) কেলেংকারি- এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আজকে যখন চারিদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে কৈ রুই-কাতলা তো ধরা পড়ে না। কালকে (রবিবার) নামমাত্র একজন (ডা. সাবরিনা) ধরা পড়লেন।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, এর পেছনে গডফাদার কারা? এর পেছনে সেই ক্ষমতাশালী লোক তারা কারা? কৈ তারা তো ধরা পড়ে না। সাহেদের সাথে, জেকেজির সাথে আরও জড়িত যারা আছে তাদেরকে তো আপনারা ধরতে পারবেন না। রুই কাতলাদের আপনারা ধরতে পারবেন না। কারণ ওরা ক্ষমতাশালী লোক।’

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে চলছে আওয়ামী লীগ। সেই সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে তাদের মধ্যে মানবতার কোনো কাজ নেই, তাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কোনো কাজ নেই।’

‘তারা দাঁড়িয়েছে জনগণের পকেট থেকে টাকা দিয়ে যে ত্রাণ কেনা হয়েছে সেই ত্রাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসা থেকে, না হলে গ্যারেজ থেকে, না হলে পুকুর থেকে না হলে মাটির তলা থেকে পাওয়া গেছে। এভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’-যোগ করেন রিজভী।

বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠন নিজের পকেট থেকে অর্থ দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

রিজভী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আপনারা দেখছেন সংবাদপত্রের পাতায় আগের কথা না-ই বা বললাম। মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর মেশিন ভ্যান্টিলেটর, সেই ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যখন পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম চারিদিকে ছি. ছি. পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নাই যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নাই। ছবি তুলেছেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে তাদেরকে করোনা টেস্ট করার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি যখন অনুমোদন দেয় সেটা তো সরকারেরই অনুমোদন।

রিজেন্ট হাসপাতালের কর্ণধার মো. সাহেদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘উনি সরকারের পক্ষে টকশো করছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য তিনি। তারপরে বললেন কি? সে নাকি হওয়া ভবনের লোক। যখন ফাঁস হয়ে যায়, যখন মুখ দেখানোর কিছু থাকে না, তখন বিএনপি অথবা হাওয়া ভবনের বলে চাপিয়ে দেয় তারা।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমননীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি একটি মাসুম বাচ্চা মেয়ে মাহমুদা পলি তাকে রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে এসেছেন। কেন? সে ফেসবুকে লিখেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এখনো সে কারাগারে। ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিটো হায়দার আজকে ৪/৫দিন আগে তুলে নিয়ে গেছেন। সবাই দেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি লোকেরা তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

সংগঠনের সভাপতি শফিকুল আলম নাদিমের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব একেএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক জোটের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মুজিব উল্লাহ, মুজিব, গাজী নাজিমউদ্দিন, কাশেমুর রহমান খান, আশরাফ হিলালী, শাহ মোয়াজ্জেম সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৫২ | সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com