| রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারী জানিয়েছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার দুপুরে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি মিলনায়তনে এ কথা জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নে ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘হরতালের নামে কেউ ভাঙচুর, নৈরাজ্য করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এর আগে সকালে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৭তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন জাবেদ পাটোয়ারী। কুচকাওয়াজে ব্যাচের ১ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষানবিশ ক্যাডেট অংশ নেন। এর মধ্যে ১৩৪ জন নারী কর্মকর্তাও রয়েছেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জবাবদিহিতামূলক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ হবে অনন্য দৃষ্টান্ত। বর্তমানে পুলিশ বাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার ও বিস্তার রোধে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার পুলিশের কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে নতুন ও বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, ধারাবাহিকভাবে জনবল বাড়ানো, কর্মদক্ষতার উন্নয়নে দেশে-বিদেশে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের সুব্যবস্থা, অত্যাধুনিক লজিস্টিকস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহের সুব্যবস্থা করছে।’
নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বিশ্বায়নের সঙ্গে অপরাধের প্রকৃতি, মাত্রা ও অপরাধ সংগঠনের কৌশলে নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশকেও তাই অপরাধ মোকাবিলা, কলা-কৌশল প্রয়োগ এবং প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করতে হচ্ছে। অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পুলিশের প্রাত্যহিক কাজের পরিসরে সাইবার ক্রাইম রোধ, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ, আন্তঃদেশীয় অপরাধ ব্যবস্থাপনা, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি সংযোজিত হয়েছে। জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে।
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পুলিশকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। মামলার যথাযথ তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা, মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তাসহ অর্পিত দায়িত্ব নির্মোহভাবে পালন করতে হবে। আইন বিষয়ক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সেবার মান উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিসহ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক।’
এসময় জেন্ডার গাইডলাইন্স অনুসরণ, নারী সহায়তা কেন্দ্র, শিশু হেল্প ডেস্ক প্রবর্তন, ডিএমপিতে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন, সারা দেশে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা, পুলিশ বাহিনীতে ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত হারে নারী সদস্য নিয়োগ, বাংলাদেশ পুলিশে কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, বেবি-ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন, মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং পুলিশ সদস্যদের আজীবন রেশনসহ বিভিন্ন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন যুগোপযোগী ও ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন আইজিপি।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল অতিরিক্ত আইজিপি মো. নজিবুর রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৫:৫৬ | রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain