| সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সব অঙ্গনের প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলের মনোনীত ৪৩ প্রার্থীর তালিকা হস্তান্তর করতে এসে এ কথা জানান তিনি।
প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থিতার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যখন হয়, তখন কয়েকজন প্রার্থীর নাম আমাকে লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেককে আমরা সেখানে জায়গা দিতে পারিনি। প্রার্থীদের অনেক যাচাই-বাছাই করেছি। দে অল আর ব্রিলিয়ান্ট অ্যান্ড ব্রাইট, কমিটেড ও ডেডিকেটেড। আমাদের দলের প্রতি কমিটমেন্ট, দেশ, মুক্তিযুদ্ধ এসব বিবেচনা এবং আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা, সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সব অঙ্গনের প্রতিনিধি এখানে আছেন। কালচারাল এরিনা থেকে সুবর্ণা মুস্তাফাকে চয়েজ করা হয়েছে। ব্যবসা থেকে শুরু করে সব এরিনা থেকে আমরা কিন্তু প্রতিনিধি নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে। আমাদের যে নেতারা দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে ছিলেন, সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন—তাদের ব্যাপারে আমাদের নেত্রী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
ভবিষ্যতে সংরক্ষিত আসন বাড়ানো হবে কিনা, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, ভবিষ্যতে বিষয়টিকে বাড়ানো নয়, আমরা এটা কমানোর বিষয়ে ভাববো। এমনিতেই ২৫ বছরের জন্য বিষয়টি বুকড হয়ে আছে। এরমধ্যে নারীরা ক্ষমতায়নে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। নারীদের পজিশন অনেক আপগ্রেড হবে।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়া ও তাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা এ পর্যন্ত যেসব নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে, দেখা গেছে রেজাল্ট হওয়ার আগেই সেখানে তারা বলেছে জালিয়াতি হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যাপারে তারা একই কথা বলেছিল। তাদের এই নালিশের ব্যাপারে কারও মাথাব্যথা নেই। তাদের এসব নালিশে জনগণ হাসে, হাস্যকর হয়ে গেছে। এগুলোর কোনও বাস্তবতা, সত্যতা জনগণের কাছে নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে অভিনন্দিত করেছে। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। জাতিসংঘসহ আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। অলরেডি আমরা একযোগে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ এটা। তারা এখন অংশ না নিলে খারাপ। তারা জানে যে, জাতীয় নির্বাচনে তাদের যে ভরাডুবি হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে আরও খারাপ পরিণতি হবে। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
Posted ২২:০২ | সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain