| শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও রেশনিং চালু করা শুধু যৌক্তিকই নয় বরং এর সঙ্গে বাঁচা-মরার বিষয় জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৮ সালে মজুরি বৃদ্ধির পর বলা হয়েছিল তিন বছর পর মজুরি বাড়ানো হবে। এখন সময় এসেছে মজুরি বৃদ্ধির। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। করোনার শুরু থেকে শ্রমিকরা এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছে।
মেনন বলেন, তাদের মালিকরা একবার কাজে এনেছেন আবার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে গার্মেন্টস আমদানিকারক দেশগুলো আমদানি কমিয়েছে এবং দেশের ৩০ ভাগ রফতানি কমেছে। পণ্যমূল্য না পাওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে গিয়ে ন্যায্য মজুরি না দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন মালিকরা। রফতানির অজুহাতে শ্রমিকদের মজুরি না বাড়ানো সঠিক হবে না।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে মেনন বলেন, সরকারি কর্মচারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস পেলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কেন এই ছুটি পাবে না। এই ছুটি না পাওয়া গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের জন্য বঞ্ছনার। দাবি আদায়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। নেতাদের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য শামসুন নাহার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভীনসহ শ্রমিক নেতারা।
Posted ১০:১৮ | শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain