| শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন ,শেরপুর : শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মিন্টু মিয়াকে (৪৩) আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) ভোরে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। মিন্টু মিয়া পাশের গেরামারা গ্রামের হাই উদ্দিনের ছেলে। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন তিন জন।
নিহতরা হলেন মিন্টুর শাশুড়ি শেফালী বেগম (৬০), স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০) ও চাচাশ্বশুর মাহমুদ গাজী (৬৫)। আহতরা হলেন চাচী শাশুড়ি সালেহা বেগম (৫২), শেফালীর স্বামী মনু মিয়া (৭৫) ও তার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৪০)। শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইম জানান, হত্যাকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও চাকুসহ মিন্টুকে আটক করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৭ বছর আগে মনিরার সঙ্গে মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেন শ্বশুর মনু মিয়া। এক সময় আরও যৌতুক দাবি করে। না দেওয়ায় মনিরাকে প্রায়ই মারধর করতো মিন্টু। বিষয়টি মীমাংসার জন্য কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন মনিরা।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বোরকা পরে শ্বশুরবাড়ি ঢুকে দা দিয়ে কুপিয়ে মনিরাকে হত্যা করে। এ সময় বাধা দিতে এগিয়ে এলে শাশুড়ি শেফালী বেগম, শ্বশুর মনু মিয়া, চাচাশ্বশুর মাহমুদ গাজী, শ্যালক শাহাদাৎ হোসেন ও চাচিশাশুড়ি সালেহা বেগমকে কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাশের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শেফালী ও মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত মনু মিয়া, শাহাদাৎ হোসেন ও সালেহা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, আটক মিন্টু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Posted ০৯:১৮ | শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin