| বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেছেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সত্যিকারের একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও ব্যক্তিত্বকে হারাল। যার অভাব সহজে পূরণ হবার নয়।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন, দেশের স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক আদর্শই ছিল মরহুম শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের রাজনৈতিক জীবনের পথচলা।
মির্জা ফখরুল বলেন, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেলেও দেশবাসীর হৃদয় থেকে কোনদিনও বিস্মৃত হবেন না। অনন্য্য বাগ্মী এই নেতা খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। স্বাধীনতাযুদ্ধে তাঁর সাহসী ভূমিকা দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর ছিল অবিচল আস্থা। তিনি ছিলেন একজন জনঘনিষ্ঠ কর্মীবান্ধব রাজনীতিবিদ। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানাবিধ কাজের সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। তিনি নিজ এলাকার নানামুখী উন্নয়নের অগ্রদূত। সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান। তার বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত রাখতেন।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকর্মী হিসেবে নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল শাহ মোয়াজ্জেম গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর কন্ঠস্বর ছিল উচ্চকিত। দলমত নির্বিশেষে তিনি ছিলেন সবার নিকট একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যু দেশের জন্য গভীর শুন্যতা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় ৮৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন শাহ মোয়াজ্জেম।
Posted ০৭:১৬ | বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain