| রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
রোববার সকাল ৬ ঘটিকায় শাল্লা উপজেলার ৮১নং পিআইসি মাউতির বাঁধ ভেঙে ছায়ার হাওরে পানি ঢুকছে। নিমিসেই চোখের সামনে তলিয়ে গেল কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। সাধারণত বর্ষাকালে মাসের প্রায় ছয় মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে ছায়ার হাওর। এ সময় দিগন্ত বিস্তৃত উন্মুক্ত জলাশয়ে রূপান্তরিত হয় হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এক পাড় থেকে আরেক পাড় সহজে ঠাহর করা যায় না।
এই হাওরের জমি মূলত এক ফসলি। চৈত্র-বৈশাখ মাসের মধ্যেই হাওর থেকে সব ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেন ছায়ার হাওরের কৃষক। সাধারণত হাওরে পানি আসে তারও পরে। তবে এবার যেন উলট পালট হয়ে যায় সব হিসেব। ভারত থেকে অসময়ে নেমে আসা ঢলে স্বাভাবিক সময়ের প্রায় এক থেকে দেড়মাস আগে তলিয়ে যায় পুরো হাওর। অথচ পাকা ধান কাটার জন্য এ সময় অপেক্ষা করছিলেন হাওরের কৃষকরা।
হাওরের কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল তলিয়ে যাওয়ার জন্য পাউবোকেই দায়ী করেছেন। তারা বলেন, হাওর সঠিক সময়ে কাজ শুরু হয়নি এবং সঠিক সময়ে কাজ শেষ হয়নি। এখন পর্যণ্ত কোন বাঁধের শত ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘোষণা দেননি। দেড়িতে কাজ হওয়ায় বাঁধের মাটি ঠিক হয়নি। নিয়ম মোতাবেক বাঁধে দুরমুজ না করায় পানির ধাক্কা নিতে পারেনি বাঁধ তাই সহজেই ভেঙ্গে গেছে। সব মিলিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, তাদের পিআইসি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকেই হাওর ডোবার জন্য দায়ী করলেন ছায়ার হাওরের কৃষকরা।
Posted ০৯:৩১ | রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin