ভারতের সাংবাদিক চিত্রা ত্রিপাঠী তার টুইটার হ্যান্ডলে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, এক মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে অনেকেই মাস্ক পরে রয়েছেন, আবার অনেকেরই নাক-মুখ খোলা। ফুট তিন-চারেকের দূরত্বে দাঁড়িয়ে বর-কনে। প্রথমে কনে দুহাতে দুটি লাঠির ডগায় মালা নিয়ে তা বরের গলায় পরিয়ে দিচ্ছেন। এর পর কনের গলায় মালা দেওয়ার পালা। এতক্ষণ দেখে মনে হচ্ছিল, পরস্পরের ছোঁয়া এড়িয়েই মনে হয় এই বিয়ে সম্পন্ন হবে; কিন্তু সেই ধারণা ভাঙতে বেশি সময় লাগে না।
বরের গলায় মালা দেওয়ার রীতি সম্পন্ন করার জন্য কনেকে সাহায্য করতে দুদিক থেকে দুজন এগিয়ে আসেন। মালাবদলের লাঠি নিজের হাতে নিতে এগিয়ে আসেন বরও। সব মিলিয়ে মোট চারজন একসঙ্গে সেই লাঠির সাহায্যে মালা বদলে সাহায্য করতে উদ্যত হন। আর একটা সময় চারজনই খুব কাছে চলে আসেন। ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর সম্ভব হয়নি।
বরের মালা বর কনের গলায় পরিয়ে দেয়। এটাই রীতি। কিন্তু মালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে নোভেল করোনাভাইরাস। তাই লাঠি দিয়েই কাজ সারলেন এই দুজন। যা দেখে খুশির হাসি হাসছেন উপস্থিত বর ও কনেপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্য জায়গায়, গ্লাভস ব্যাবহার না করে একই লাঠি দিয়ে বর ও কনে মালাবদল করলো। তাহলে কার্য চরিতার্থ হলো কই! তবে প্রশ্ন যাই থাক, বিয়ের রীতি পালন করার অভিনব এই পন্থা মনে ধরেছে নেটিজেনদের। এই খবর দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে।পূর্বপশ্চিমবিডি