| সোমবার, ১২ মে ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে অভিযুক্ত র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আদালতের আদেশ মেনে তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ পুলিশ প্রধানকে দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে পৌঁছার পর তিনি সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানো এ তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি প্রতিমন্ত্রী।
ওই তিন কর্মকর্তা হলেন- র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানা। এদের মধ্যে তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাই।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা আদেশের কপি পেয়েছি। এখন আদালতের আদেশ পালনে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে। হাইকোর্টের ওই আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করতে আইজিপিকে নির্দেশ দেয়া হয়।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, চাকরিচ্যুত ওই তিনজনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি বা অন্য কোনো বিশেষ আইনে কোনো অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের আগের দিন তারেক সাঈদকে র্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে র্যাব সদস্যরা তার জামাতাসহ সাতজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। ওই অভিযোগ ওঠার পর গত ৭ মে সাঈদসহ র্যাব-১১ এর ওই তিন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অকালীন অবসরে পাঠানো হয়।
Posted ১১:৩৪ | সোমবার, ১২ মে ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin