স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়। এক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুততর সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি প্রতিনিধি দল সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলে ছিলেন মাইকেল চারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, খিন মাই অং, রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, মিচিমি মুরানুশি, ডরিন চ্যান প্রফেসর ফ্রেডরিক জন প্যাকের প্রমুখ।

স্পিকার আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমসহ আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইতোমধ্যে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবর্ননীয় দূঃখ-দূর্দশা পরিদর্শন করে গেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে- প্রয়োজন মিয়ানমারের আন্তরিকতা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এসময় ড. মং জারনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তা বাস্তবায়নে মিয়ানমার যথেষ্ঠ আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমারের প্রতিবেশী প্রভাবশালী চীন ও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ সময় প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বিডি প্রতিদিন