| বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট আগামীকাল ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডকে এই রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এ রিপোর্ট কাল আদালতে উপস্থাপন করা হবে কীনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারছেন না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, সকাল নাগাদও যদি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাই তাহলে আদালতে যাবো, নয়তো সময় চাইবো।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আদালত তো সকাল ১০টা থেকে ১১টার দিকে বসবে, আমরা সকাল ৮টার দিকে বসেও যদি রিপোর্ট পাই, তাহলেও পাঠিয়ে দেবো। তবে মনে হচ্ছে একটু সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমরা তো গত পরশু আদালতের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি, তারপর গতকাল (মঙ্গলবার) একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই আমরা পাঠিয়ে দেবো।
উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বলেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেন। কিন্তু তার কাছে (উপাচার্যের মাধ্যমেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে) এখনও মেডিকেল বোর্ড প্রতিবেদন দেয়নি। প্রতিবেদন দাখিলে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
রাতের ভেতরে রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে কিনা, এমন প্রশ্নে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, কিছু ইনভেস্টিগেশন দিয়েছে বোর্ড, সেগুলোর ফলাফল হাতে পেলেই যাবো। আর প্রতিবেদন না পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২৮ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তার বিষয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট ৫ ডিসেম্বরে দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিন পর্যন্ত জামিনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।
ওইদিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাহবুবুল হক বলেছিলেন, ‘এখনও তো সময় আছে, রিপোর্ট বানাতে তো আর সময় লাগে না।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে গত ১ এপ্রিল বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা হয় তার। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।
Posted ২১:৩৬ | বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain