| শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদাম বন্ধে সরকার কঠোর হচ্ছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি- অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম এবং রাসায়নিক বিক্রি করে এমন দোকান চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
চকবাজারে আগুনের ঘটনা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা রাসায়নিক গুদাম বন্ধে বা সরানোর দায়িত্বে ছিলেন, নিশ্চিত তাদের অবহেলা ছিল। আমি মনে করি, তাদেরও জবাবদিহির প্রয়োজন আছে।
যে কোনো মূল্যে এগুলো সরাতে হবে জানিয়ে কাদের বলেন, এমন দুর্ঘটনা শুধু কেমিক্যাল গোডাউনের কারণেই হচ্ছে না। একই সঙ্গে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়েও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, এসব ঘটনা শুধু আইন দিয়ে বন্ধ করা যাবে না।একই সঙ্গে সচেতন মহল ও এলাকাবাসীকেও এমন অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি ইতিমধ্যে আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বলেছি-সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করে কীভাবে বিকল্প উপায় করা যায়। কারণ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানিসহ ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চকবাজারে আগুনে দগ্ধদের সব দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
এদিন ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে আগুনে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Posted ১২:৫৯ | শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain