নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে গেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। বিকাল চারটার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। তার আগেই যান দলের অন্য নেতারা।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, এইচ টি ইমাম, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এম জমির, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুর করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদের, দিপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আজকের আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষ হচ্ছে। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি নিবন্ধিত ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতে হবে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই নিয়োগ চূড়ান্ত করবেন রাষ্ট্রপতিই। তবে সংবিধানের অন্য একটি বিধান অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাধীন নন। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

গত ২ জানুয়ারি সংলাপের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে কী বিষয় তুলে ধরা হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, এই সংলাপে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব দেবেন না রাষ্ট্রপতিকে। বরং তার বিবেচনার ওপরই ছেড়ে দেবে ক্ষমতাসীন দল।

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি আইন করার কথা বলা আছে। তবে স্বাধীনতার পর কোনো সরকার এই আইন করেনি। এবার নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এই আইনের প্রসঙ্গ আবার উঠে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই শরিক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিও এই আইন করার তাগিদ দেয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন তারা।