শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশ ন্যাপ’র ১১ দফা প্রস্তাব ও ৫ সুপারিশ

  |   সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট

রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশ ন্যাপ’র ১১ দফা প্রস্তাব ও ৫ সুপারিশ

NAP-05-bg20170116182045

ঢাকা, স্বাধীনদেশ : শুধুমাত্র শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই সকল সমস্যার সমাধান নয়। দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা খুবই কষ্টসাধ্য। আর সেই জন্য, অবশ্যই নির্বাচন কালীন সরকারের বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপিতিকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

সোমবার বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ ন্যাপ আজকের সংলাপের অংশগ্রহন করেন। দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১১ সদস্য বশিষ্ট প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ গোলাম সারওয়ার খান, সাদ্দাম হোসেন, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান মনির এনায়েত মল্লিক, মো. ফারহানুল হক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, মো. নুুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মো. শহীদুননবী ডাবলু ও মো. কামাল ভূঁইয়া।

এসময় দলের পক্ষ হতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নিকট ১১ দফা প্রস্তাব ও ৫ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।

রাষ্ট্রপতির নিকট জমা দেয়া প্রস্তাবগুলো হলো : ১. (ক) সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করে অথবা আপনার চিন্তা-চেতনা, বিবেক-বিবেচনায় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষদের নিয়ে দেশের মানুষের আস্থাভাজন গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন এবং কমিশনে অবশ্য অবশ্যই একজন নারী সদস্য অন্তর্ভূক্ত করবেন। (খ) বাছাই কমিটি গঠনকল্পে আমরা মনে করি রাষ্ট্রপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৎ, নিরপেক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ এবং নৈতিকতা ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যাক্তিদের নিয়ে ৫-৭ সদস্য বশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি গঠন করবেন। (গ) বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মক্ষম একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে (যিনি বিতর্কিত নন) এবং অবসরের পর সরকারের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত নন বা ছিলেন না।

এমন একজনকে সার্চ কমিটির প্রধান করবেন। (ঘ) আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি (যিনি বিতর্কিত নন এবং অবসরের পর সরকারের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত নন বা ছিলেন না) , সরকারের অবসর প্রাপ্ত সচিব (যিনি বিতর্কিত নন এবং অবসরের পর সরকারের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত নন বা ছিলেন না ও সৎ এবং দল নিরপেক্ষ), সাবেক সেনাপ্রধান বা সিনিয়র সেনাকর্মকর্তা (যিনি বিতর্কিত নন এবং অবসরের পর সরকারের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত নন বা ছিলেন না), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট নাগরিকদের মাঝ থেকে সদস্য মনোনীত করবেন। (২) দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন প্রধান উপাদান। তাই নির্বাচন কমিশন এবং নির্ভেজাল নির্বাচন জাতির জন্যে খুবই জরুরী। অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন মুক্ত করার প্রস্তাব করছি। (৩) মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচেনা, তেমনি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া চলার কথা না। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন কখনো কোন রাজনৈতিক দলের মতামতের তোয়াক্কা করেনি।

নির্বাচন কমিশনের জন্যে যখন আগামীতে বিধি-বিধান প্রণীত হবে তখন অবশ্যই তাতে বিধান রাখতে হবে প্রতি বছর অন্ত:ত তিনবার নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত দলের সাথে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা করবে। এছাড়া কোন নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সে বিষয়েও বাধ্যতামূলক আলোচনার বিধান রাখতে হবে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত না নিয়ে নির্বাচন কমিশন নতুন কোন নির্বাচনী বিধি-বিধান বহাল বা পরিবর্তন করতে পারবে না। (৪) নির্বাচনী প্রচারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান/সভাপতি এবং মহাসচিব/সাধারণ সম্পাদকের উপর কোন বিধি-নিষেধ রাখা যাবে না। (৫) গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে রাজনৈতিক দল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রতিবার বিদেশ সফর করে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন, ঠিক তেমনি নিবন্ধিত দলের সাথে বছরে অন্তত একবার দেশের পরিস্থিতি, অগ্রগতি, শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে দলগুলির মতামত নিবেন এবং তিনি তার মতামত ব্যক্ত করবেন। (৬) নিবন্ধনকৃত সকল রাজনৈতিক দলের সাথে রাষ্ট্রপতির বৈঠকের কার্যবিবরনী এবং বৈঠকের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ, সকল রাজনৈতিক দলের উপস্থিত প্রতিনিধিদের স্বাক্ষরযুক্ত দলিলরুপে, রাষ্ট্রপতি কার্যালয় সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করবে।

(৭) নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাই এর প্রতি তদরূপ মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে, যাতে করে নির্বাচন পরিচালনা ও এর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারবে এবং সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নাস্থে আইনের বিধানবলি অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করা। তবে, বর্তমান জাতীয় সংসদ যেহেতু সকল দলের অংশ গ্রহনে গঠিত নয়, সেহেতু আগামীতে সকল দলের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত নির্বাচিত জাতীয় সংসদে সেই আইন প্রনয়ন করা যায়। (৮) নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা প্রসঙ্গে এই কমিশনকে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে সারাবাছর  সরকারী বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোতে দেশের সংবিধান পড়ার আহবান করে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও শাসনরীতির তাগিদ রেখে নাটিকা ও ডকুমেন্টারি প্রচারের উদ্যোগ নিতে হবে। এখানে দেখা যায়, শুধুমাত্র নির্বাচন এলেই এমন কিছু নাটিকা তৈরি হয়।

মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভোটারদেরকে সামাজিক ভাবে শিক্ষিত করে তোলার পথ দেখাতে হবে এই নির্বাচন কমিশনকে। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় ভাঙ্গাচোড়া গণতন্ত্রের রাস্তায় এমন কিছু না করা গেলে অবুঝ জনশ্রেণির ভোটগুলো কার্যকরী হওয়ার সুযোগ নেই। (৯) নির্বাচন কমিশন গঠনে এই কমিশনের জন্য কাজ করা অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে নিয়োগের কথাও আলাদা করে চিন্তা করার অবকাশ থেকে যায়, যারা বিভিন্ন পর্যায়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার খ্যাতিতে থেকে অতীতে কিংবা বর্তমানে এই কমিশনের দায়িত্বশীল পদে ছিলেন বা আছেন। (১০) ইতিমধ্যে দেশের গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীসহ আমরা অবগত হয়েছি যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এ প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে সমর্থন করে না। কারণ, আমরা মনে করি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তবতায় এই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না। আর বিশ্বের যে সকল রাষ্ট্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হয় সেখানেও আজ এই পদ্ধতি বিতর্কের উর্দ্ধে নয়, বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বাতিলের দাবী উঠেছে। এমনকি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও এই পদ্ধতি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা মনে করি এই পদ্ধতি এখনই কার্যকর করা সঠিক হবে না। (১১) ক) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাজনৈতিক দল করা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই গণতান্ত্রিক অধিকারকে আইনের নাগপাশে বাঁধা সঠিক বলে আমরা মনে করি না। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন যুক্তিসংগত হলেও নিবন্ধনের শর্তগুলো আরো বেশী সহজতর করা উচিত বলে আমরা মনে করি। খ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ১% ভোটারের সম্মতি গ্রহনে যে শর্ত আরপিওতে দেয়া হয়েছে তা সংবিধান ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থি। অতএব, আরপিও-এর এই ধারাটি বাতিলেরও জোর দাবী জানাচ্ছি। গ) RPO এর Defintion Clause Article 2 (XIaa)  তে ‘Law Enforcing Agency’ হিসাবে অন্যান্য বাহিনীর সাথে Defense Services of Bangladesh’পূনঃস্থাপন করতে হবে।

সুপারিশ পাঁচটি হলো : ক) সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সব ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার অভিপ্রায়ে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করার প্রশ্নে আপাত ও দীর্ঘমেয়াদী আঙ্গিকে দুই বারের মতো একই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হওয়া জরুরী। খ) সর্বজনীন প্রতিনিধিত্বমুলক নির্বাচনকে নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সবকটি রাজনৈতিক দল ও ক্ষমতাসীন বা সরকার দলের মধ্যকার সমঝোতা, সমন্বয় ও বন্ধুত্বমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা। গ) রাষ্ট্রপতি আহুত সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকসমুহের সুফল সকলকেই পেতে হবে।

যে শুরুটা আপনার আহবানের মধ্য দিয়ে হয়েছে তার পরিণতি নির্বাচন কমিশন গঠনের আয়োজনটিকে সর্ব সম্মতি রুপে সমর্থন আদায় করে নেয়ার দৃশ্যমান বাস্তবতায় যেতে হবে। অর্থাৎ একজন রাষ্ট্রপতির যুগান্তকারী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে সমর্থনযোগ্য করার উদাহরণে রাষ্ট্রপতিকে অতি সত্তায় প্রতিভাত হতে হবে। ঘ) কার্যত দেশের দুটি রাজনৈতিক বলয় বা জোটের মধ্যকার আস্থা, বিশ্বাস ফেরত আনা গেলে নিশ্চয়ই রাষ্ট্রপতির অর্থবহ চিন্তাকে সম্মান করার জায়গায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বের সায় থাকবে। দল হিসাবে অনেক ক্ষেত্রে তা জোটের সিদ্ধান্তকে ছাপিয়ে যেয়েও মৌলিক মত রাখার পর্যায় সৃষ্টি হবে অনেক গুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। ঙ) সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারলে আগামী দিনের শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রের রুপ এবং এর অনুষঙ্গগুলো নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক আলোচনা করার সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সঠিক রাস্তায় থাকবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে- যা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক দিক হবে।

ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রতিনিধি হয়ে যাদের সংসদে বসার সুযোগ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকায় এবং অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হওয়াতে আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার সিদ্ধাস্ত নিলে সেটি সমর্থনযোগ্য হওয়ার পর্যায়ে থাকবে না। তাহলে এমন আলোচনা, সংলাপ প্রহসনের হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কাছে টানবে। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা খুব ভাল চলছে না, সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা ও প্রতিহিংসা। যা একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের জন্য খুব বেশী শুভ লক্ষন নয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি উপলব্ধি করে এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে ব্যবস্থা করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন সরকারী দল এ বিষয়গুলোকে মেনে নিবে।

ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে পারি নাই। পারি নাই বলেই আস্থার সংকটে আমাদেরকে রাষ্ট্রপতির আহবানে এমন কিছুর অধ্যায়ে সুপারিশ রাখার দৃষ্টান্তে থাকতে হচ্ছে। রাজনীতির পরিবেশ স্বচ্ছ থাকলে একজন রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ভাবে যা সিদ্ধান্ত নিতেন সেটাই সকলের মেনে নেয়া উচিত ছিল। দুঃখ জনক হলেও সত্য, বাস্তবে আমরা তা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নাই। তবে রাষ্ট্রের অভিভাবকের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় ইস্যুতে মাঝেমাঝেই আলোচনা করার পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে সমাজ বিনির্মাণে আমরা আরো কার্যকরী পদক্ষেপে মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতাম।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৫৪ | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com