২২ এপ্রিল  : রানাপ্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পোশাকশ্রমিক ও দোকানিদের গ্লোবাল ফান্ডের আওতায় অর্থসহায়তা দেয়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও। আর এ ধারাবাহিকতায় আরও তিন হাজার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে ১ হাজার ১৩৭ জনের মৃত্যু এবং হাজারো শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনার এক বছর পূর্ণ হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে এ ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু হলো।

মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এক আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ অর্থসহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  এর আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই পোশাক শ্রমিককে ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং মৃত শিল্পী আক্তারের মা শামসুন্নাহারের হাতে  এ চেক তুলে দেয়া হয়।

এদিকে, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রমিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।তিনি সাংবাদিকদের জানান, গ্লোবাল ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় আইএলওসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এবং পোশাক ক্রেতাদের কাছ থেকে এ সহায়তার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ টাকা থেকেই তিন হাজার শ্রমিককে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

বুধবারের মধ্যে (২৩ এপ্রিল) ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় থাকা বাকি শ্রমিক ও দোকানিদের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় মুজিবুল হক বলেন, এ সহায়তার মধ্যে যারা রানা প্লাজায় দোকান ছিল তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেননা রানা প্লাজা ঘটনায় তারাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছেন।