| শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে নোয়াখালীর রাজনীতির মাঠ আওয়ামী লীগের একক দখলে। অন্যদিকে মামলা, হামলা ও পুলিশের ভয়ে মাঠে নামতে না পেরে জর্জরিত বিএনপি, এমন অভিযোগ দলটির নেতাকর্মীদের। ঘরোয়া পরিবেশে নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে দু-একটি সভা-সমাবেশ করলেও রাজপথে নেই তাদের কর্মকাণ্ড।
সাবেক স্পিকার মরহুম আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠ বিএনপির দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে দীর্ঘ ২১ বছর পর বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে মাঠ দখলে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের।
এদিকে বিএনপি ও জামায়াতের শত শত নেতাকর্মী সরকারি দলে যোগ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে চলছেন, তারাও আওয়ামী লীগ থেকে বিভিন্নভাবে সুবিধা নিচ্ছেন। নোয়াখালী জেলায় সংসদীয় আসন ৬টি। একসময়ে এখানে বিএনপির প্রভাব থাকলেও বর্তমানে চিত্র ভিন্ন। নোয়াখালীর ৬টি আসনই এখন আওয়ামী লীগের দখলে।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি জানান, বিএনপি শক্তিশালী দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জেলার ৬টি আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী অসংখ্য মামলা-হামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জর্জরিত। প্রতি সপ্তাহে তাদের আদালতের বারান্দায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আসতে হয়।
মহাজোট থেকে কোনো সহযোগিতা পাই না। জাতীয় পার্টি মহাজোটের অংশ হলেও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে, প্রকাশ্যে জামায়াত-শিবিরের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড না দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে চলছে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। মামলায় জর্জরিত হয়ে আত্মগোপনে থাকায় সক্রিয় নেই কার্যক্রম। তবে গোপনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তার।
Posted ১৩:৩১ | শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain