বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে প্রবেশ-ত্যাগে কৌশলী মানুষ, আছে ভোগান্তি

  |   শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ | প্রিন্ট

রাজধানীতে প্রবেশ-ত্যাগে কৌশলী মানুষ, আছে ভোগান্তি

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ কয়েকটি ধরন ছড়িয়ে পড়ায় গত সোমবার থেকে রাজধানীর আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। ফলে রাজধানীর সঙ্গে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন। তবে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও রাজধানীর প্রবেশমুখে পুলিশের নিরাপত্তা থাকায় নানান কৌশল অবলম্বন করে রাজধানীতে প্রবেশ ও ত্যাগ করছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাবতলী থেকে ছাড়া হচ্ছে না কোনো ধরনের দূরপাল্লার পরিবহন। তবে থেমে নেই মানুষের যাতায়াত। নানান প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত অন্য জেলার মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করছেন সেই সঙ্গে ত্যাগও করছেন। গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে একটু সামনে এগুলেই আমিন বাজার ব্রিজ। ব্রিজের মুখেই চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ ও ত্যাগে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।

 

রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দেয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এই ভোগান্তির বেশিরভাগটাই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের। অনেক যাত্রীই জটলা বেঁধে হেঁটে চলছেন। এক রিকশায় চারজনও চড়ছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে বাইরের লোকজন রাজধানীতে ঢুকছেন।

 

তবে রাজধানীতে প্রবেশ ও ত্যাগে কৌশল অবলম্বলন করতে হচ্ছে। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় নগরের বাসে জেলার সীমানায় গিয়ে কিছুটা পায়ে হেঁটে আবার অন্য জেলার গাড়িতে উঠছে মানুষ। মাঝে কখনো রিকশায়, ভ্যানেও যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে ট্যাক্সি ও ব্যক্তিগত গাড়িতেও যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া।

 

মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ছাড়াও, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল দেখা গেছে। এসব পরিবহনে চড়েও কেউ কেউ ঢাকায় প্রবেশ করছেন। পুলিশ চেকপোস্টে এসব গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে বেশিরভাগ মানুষও নানান প্রয়োজনের কথা জানিয়ে রাজধানীতে ঢুকছেন।

 

রাজধানীর মিরপুর থেকে মাগুরা যাবেন বেলার নামে একজন। তিনি জানান, গাবতলী পর্যন্ত বাসে চেপে এসেছেন। এর পর আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়েছেন পায়ে হেঁটে। তার পর প্রাইভেটকারে যাবেন পাটুরিয়া ঘাটে। তিনি জানান, কোনোভাবে ঘাট পার হয়ে ভেঙে ভেঙে চলে যাবেন নিজ বাড়িতে।

 

রাজধানী থেকে যশোরগামী রাশেদ নামে একজনের ভাষ্য, এত কিছু মানতে গেলে পেট চলবে না। কাজের জন্য ঢাকা আসছিলেন তিনি। কাজ না পাওয়ায় বাড়িতে চলে যেতে হবে। যেভাবে হোক, বাস-ট্রাক যেটাই পান, চলে যাবেন তিনি।

 

বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন রাজিব। ৫ দিনের ছুটি নিয়ে নিজের বাড়ি নাটোর গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার পরই সরকার লকডাউন দিয়ে দেয়। কিন্তু কাল ছুটি শেষ অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। তাই বাড়ি থেকে ভোরে রওনা হয়েছি। গাড়ি পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে খুব কষ্ট করে ঢাকাতে পৌঁছালাম।

 

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। গত কয়েকদিনে শনাক্তের হার ২০ এর উপরে উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়। এ অবস্থায় সারাদেশ শাটডাউনের সুপারিশ এসেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি থেকে। আর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন সরকারের শাটাডাউনের প্রস্তুতি আছে।

সূএ:ঢাকাটাইমস

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৪৪ | শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com