বুধবার ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

যে কারণে ফেসবুক কথা শুনছে বাংলাদেশের

  |   বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

যে কারণে ফেসবুক কথা শুনছে বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষ সহজে সাড়া দিত না। সমস্যা সমাধান বা কোনও কিছুর জন্য অনুরোধ করলে না রাখার মতো করে কাজটি করতো। ১০টি অনুরোধ করলে ২-৩টা পুরোপুরি এবং ১-২টার আংশিক পূরণ করতো অনেক সময়। ক্ষেত্র বিশেষে কোনও তথ্যই দিত না। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বা সরকারের অন্য কোনও সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট থেকে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যেত অনেক দেরিতে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সেই চিত্র বদলেছে। বর্তমানে ফেসবুকের কাছে কোনও তথ্য চেয়ে পাঠালে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিচ্ছে। মিলছে সমাধানও। সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের ভাষায়, ফেসবুক এখন বাংলাদেশের কথা শুনছে। বাংলাদেশও এখন ফেসবুকের বড় বাজার। বছরে হাজার কোটি টাকা এদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে তারা। ফলে কথা না শুনলে, সমাধান দিয়ে দ্রুত সাড়া না দিলে এই বর্ধিষ্ণু বাজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কাও আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফেসবুকের সঙ্গে আমরা আইস ব্রেকিংয়ের জায়গায় গিয়েছি। ফেসবুক এখন আমাদের সঙ্গে কথা বলে, কথা শোনে। ফেসবুক ততটুকুই আমাদের কথা শোনে যতটুকু তাদের স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে ম্যাচ করে। এখানে একটা শিক্ষণীয় বিষয় ছিল, ফেসবুকের স্ট্যান্ডার্ড কী, আমাদের কতটুকু তাদের স্ট্যান্ডার্ডে ফেলে তা ধারণ করা যায় ইত্যাদি। এখন সেই কাজটি বেশ ভালোভাবেই হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুকের স্ট্যান্ডার্ড হলো, স্থানীয় আইন তারা ভঙ্গ করছে কিনা। আমাদের যারা ফেসবুকের কাছে মেইল করে, লিংক পাঠায় তারা কখনোই মেনশন করে না এই লিংক (কোনও স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) আমার অমুক আইনের এত ধারা ভঙ্গ করছে। লিংক পাঠানোর সময় যদি মেনশন করে দেওয়া হয় যে, এই লিংক আমাদের স্থানীয় আইনের এতো ধারা ভঙ্গ করছে। এটা করা হলে ফেসবুক দ্রুত উদ্যোগ নেবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। ফেসবুক এখন আমাদের সঙ্গে এগ্রিড যে তারা স্থানীয় আইনকে (বাংলাদেশের) সম্মান করবে। কোনও লিংক যদি তা ভঙ্গ করে তাহলে তারা জানা মাত্রই ব্যবস্থা নেবে বা লিংক ব্লক করে দেবে।’

উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের একটা ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন অন্তত এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফেসবুকের সঙ্গে এ মাসেই আমরা একটা যৌথ কর্মশালা করবো। সেই কর্মশালায় ফেসবুক আমাদের বলবে কী কীভাবে তুমি তোমার (বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের) নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারো। আর আমিও আমার (ফেসবুকের) স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে তোমাকে সহযোগিতা করতে পারি। এখন ফেসবুকের সঙ্গে আমার দিনে একাধিকবার যোগাযোগ হচ্ছে।’

মোস্তাফা জব্বার জানান, ফেসবুক এখন উপলব্ধি করতে পেরেছে বাংলাদেশ তার জন্য একটা বিশাল সম্ভাবনার বাজার। গত ৪ আগস্ট গুজব রটানোর দিনের (ওইদিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া তথা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়) বিষয়টি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আমি ফেসবুককে বললাম, তোমরা যদি আমার কথা না শোনো তাহলে আমি সোজা ফেসবুক বন্ধ (বাংলাদেশে) করে দেবো এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য। এরপরে তুমি আমাকে কিছু বলতে পারবা না। পরদিনই দেখি ফেসবুকের এক কর্মকর্তা (মি. অশ্বীণী) সিঙ্গাপুর থেকে আমার অফিসে এসে হাজির। ওই কর্মকর্তা আমাকে জানালেন, তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। আরও জানালেন, ‘তোমাদের এতো ক্ষুব্ধ হওয়ার কোনও কারণ নেই।’ তোমাদের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো আমরা দেখবো।”

মন্ত্রী বলেন, ‘এর মানে হলো, ধমক দিলে এখন ফেসবুক কাজ করে।’

জানা গেছে, ফেসবুক এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের সঙ্গে একটি প্রশিক্ষণমূলক কাজ হাতে নিয়েছে। রক্তদানের মতো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজও করছে ফেসবুক। গত বছর দেশে ‘বুস্ট ইওর বিজনেস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। শিগগিরই ওই প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,  ফেসবুক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের মতো বিভিন্ন ধরনের কাজে হাত দিতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেসবুক ডেভেলপার গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপক আরিফ নিজামী বলেন,‘আগামীতে ফেসবুক আরও চমক নিয়ে হাজির হবে এ দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য। ফেসবুক সাক্ষরতা, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, নতুন নতুন সেবাও থাকবে তার মধ্যে।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩৭ | বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com