| শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
আব্দুল বাছিত বাদশা
অতি সম্প্রতি দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান লন্ডনে দু’টি ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়েছেন। প্র্রথমটি ২৫শে মার্চ এবং দ্বিতীয়টি ৮ই এপ্রিল। দু’টি অনুষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলাম এবং বক্তব্য গুলো মনযোগ সহকারে শুনেছি। ২৫শে মার্চে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব তারেক রহমান জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি উল্লেখ পূর্বক বক্তব্য রাখেন, কিন্তু অধিকাংশ কথা বলেছেন স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে।
১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বা তিনি স্বাধীনতা চাননি, এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে কথা বলেন এবং সে সময়কার পত্রিকার কাটিংসহ অনেক দলিল উপস্থিত সবাইকে দেখান। সাথে সাথে জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক দলিল-প্রমাণ সহ যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন।
৮ই এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান যে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, এর পক্ষে অসংখ্য প্রমানসহ যুক্তি উপস্তাপন করেন। এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি এবং ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান যে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, এর পক্ষে অসংখ্য দলিল দেখান এবং যুক্তি দিয়ে উপস্থিত সবাইকে বুঝিয়ে দেন। ইতিহাস বিকৃত হোক এটা আমরা চাই না। মিথ্যা ইতিহাস নিয়ে আমরা বসে থাকব এটাও আমরা চাই না। আমরা চাই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস।
আমি মনে করেছিলাম তারেক রহমানের বক্তব্য শুনে আওয়ামী লীগ দলিল-প্রমাণ দেখিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমান করার চেষ্টা করবে। যদিও তারেক রহমানের বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করার কোন সুযোগ নেই। কারণ, তারেক রহমানের রহমানের বক্তব্য সত্য এবং এটাই বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস। কিন্তু তারেক রহমানের বক্তব্য শুনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পাগলের মত গায়ের জোরে কথা বলছেন। মহান সংসদে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। আর এসব দেখে মনে হচ্ছে ১৯৭২ সালে যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের তুয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আজ আওয়ামীলীগের নেতারা কোন যুক্তি-প্রমাণ ছাড়া গায়ের জোরে কথা বলছেন।
Posted ১০:৫২ | শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin