মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হয়: তথ্যমন্ত্রী

  |   শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট

যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হয়: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একপেশে এবং অকার্যকর উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বেশি হয়। তাদের উচিত নিজের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি নজর দেওয়া।

 

আজ  রাজধানীর বারিধারায় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর শরৎকালীন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

বিশ্বের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ সংস্থাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী চিহ্নিত করে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার মধ্যে র‌্যাব ও সংশ্লিষ্ট ৬ কর্মকর্তার নাম থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে তাকেই আবার লাল গালিচা অভ্যর্থনা দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর।’

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ বছরেরই ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতন এবং প্রক্রিয়াগত বর্ণবাদী বৈষম্য বন্ধে মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। অক্টোবরে দা গার্ডিয়ান পত্রিকার এক নিবন্ধে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ মৃত্যুই ‘আনরিপোর্টেড’ অথবা ‘মিসলেবেলড’, অর্থাৎ এসব মৃত্যুর আসল কারণ জানানো হয়নি। ওই দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ হলেও পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের সাড়ে তিন গুণ বেশি।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় পুলিশ একজন কৃষ্ণাঙ্গের গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে মেরে ফেলেছিল। ওই মর্মান্তিক দৃশ্য বিশ্ব আজও ভোলেনি। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনের শিশুরা তাদের বাড়িঘরে হামলাকারী ইসরায়েলিদের ওপর ঢিল ছুড়লে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। যুক্তরাষ্ট্র তো সেই ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং জাতিসংঘে কোনও দেশ যদি এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দেয়, যুক্তরাষ্ট্রই তার বিরোধিতা করে ভেটো দেয়। সুতরাং তাদের এই নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একপেশে ও অকার্যকর।

 

ইউআইটিএস উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে ইউআইটিএস চেয়ারম্যান ও পিএইচপি ফ্যামিলি প্রতিষ্ঠাতা সূফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসেন সোহেল প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিক সভায় বক্তব্য রাখেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩১ | শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com