| সোমবার, ১৬ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
মওদুদ আহমেদ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি যুক্তরাজ্য শাখার বর্তমান কমিটি গঠিত হয় প্রায় চৌদ্দ মাস পুর্বে । দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ার জনাব তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের প্রতিটি জোনাল কমিটির প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনার কিছু দিন পরেই যুক্তরাজ্য বিএনপির মত বিশাল সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেন বর্তমান সভাপতি এবং সেক্রেটারির হাতে । সরাসরি পুর্নাঙ্গ কমিটি হয়ে যাওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা, কেননা সম্মেলনের ঝামেলা আর তাদের পোহাতে হবেনা।
আর সেই সুবাধেই দীর্ঘ ১৪ মাস হয়ে যাওয়ার পরও মেয়াদোত্তীর্ন জোন গুলা পুনর্গঠনের ব্যাপার তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেনা। প্রতিটি মেয়াদোত্তীর্ন জোনের নেতা কর্মীদের প্রত্যাশা ছিল দলকে সুসংগঠিত এবং গতিশীল করতে বর্তমান কমিটি জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ভুমিকা রাখবেন এবং দলের মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতার বদলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন । কিন্তু দলের প্রাণ তৃণমূল কর্মীদের সেই আসার গুঁড়ে বালি। ধীর মন্থন গতিতে জোন পুনঃগঠনের যে প্রক্রিয়া চলছে এতে বাকী ১০ মাসে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিটি রিজিওনের সম্মেলন সম্ভব হবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকেই। দলীয় রাজনীতি থেকে সরে পরেছেন অনেকেই । দলকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন জোনে যে সব নেতা-কর্মী নিবেদিত তারাও এই গেঁড়াকল কল থেকে নিজেকে গুঁটিয়ে নেয়ার কথা ভাবছেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিটি সভা সমাবেশ সফল করতে যে সকল নেতা কর্মী ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে ছুটে যান লন্ডনে, তারা কখনও যথাযত মুল্যায়িত হননা, তারপরেও শুধু দলকে ভালবেসে দলের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে শত প্রতিকুলতার মাঝেও দলীয় কর্মসুচিতে যোগদেন। এভাবে চলতে থাকলে দলের আন্দোলন সংগ্রামে নেতা কর্মীদের উপস্থিতি হ্রাস পাবে বলে অনেকেই মনে করেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্দ্যেগে বেশ কয়েকটি প্রতিনিধি সম্মেলন হয়েছে ইতিমধ্যে।
অতি সম্প্রতি জোন ২ এবং জোন ৩ এর প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন হল বার্মিংহামে এবং স্যান্ডারল্যান্ডে। দলের সাংগঠনিক অবস্থা উন্নতির লক্ষেই মুলত প্রতিনিধি সম্মলন হয়, আর সে সব সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন জোনের দায়িত্বে নিয়োজিত নেতারা। আর বহাল তবিয়তে থাকা এসব নেতাদের কেউ কেউ নিজের পদাসন দীর্ঘায়িত করতে কৌশলে এড়িয়ে যান প্রতিনিধি সম্মেলন। শুনেছি যুক্তরাজ্য বিএনপির নির্দেশ থাকা স্বত্তেও এসব নেতারা আহ্বায়ক কমিটি জমা দিচ্ছেননা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির নির্দেশর তোয়াক্কা না করে মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি চালিয়ে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নমনীয় আচরণকে অনেকেই দায়ী করেন, কিছু কিছু জোন আটকে রাখার পেছনে যুক্তরাজ্য বিএনপির কোন এক প্রভাবশালী নেতার ইশারা রয়েছে বলেও গুঞ্জন শুনা যায়।
যুক্তরাজ্য বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের প্রতি দলের তৃণমূল নেতা-কর্মিদের আবেদন, অনতিবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ন জোন পুনর্গঠনে যত্নবান হবেন, শুধু কাল ক্ষেপন এবং আশ্বাস প্রদান না করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এতে দলের অর্পিত দায়িত্ব পূরণের পাশাপাশি আপনাদের গ্রহণ যোগ্যতা এবং সম্মান বৃদ্ধি পাবে।
লেখকঃ মওদুদ আহমেদ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ।
Posted ১৯:৪৫ | সোমবার, ১৬ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin