যারা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লেখা অনানুষ্ঠানিক চিঠিতে (ইউও নোট) এ অভিযোগ করেন তিনি।

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচার বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে ইউও নোট দেন মাহবুব তালুকদার।

ইউও নোটে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রমে সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করছেন বলে বিগত ৯ জানুয়ারি ইউও নোটের মাধ্যমে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে আমার সেই উদ্বেগ বর্তমানে আরো ঘণীভূত হয়েছে। কারণ, গত কয়েক দিনে বিধিমালা নিয়ে নানা প্রকার বিভ্রান্তি লক্ষ করা যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, বিদ্যমান আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পর্কিত যেকোনো কমিটিতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই নির্বাচনী কার্যক্রম ঘরে বা বাইরে যেকোনো স্থানে হতে পারে। এ বিষয়ে আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সর্বাধিক দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিধিমালা যারা প্রণয়ন করেছেন, তারাই এখন এর বিরোধিতা করছেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, আচরণ বিধিমালা সম্পর্কে যাতে কোনো প্রকার বিভ্রান্তির অবকাশ না থাকে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ একটি পরিপত্র জারি করা অত্যাবশ্যক। নইলে এসব বিভ্রান্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন আস্থার সংকটে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।