বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যতটুকু বলি তার শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করি: ডিএমপি কমিশনার

  |   বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট

যতটুকু বলি তার শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করি: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ নেই। আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা যতটুকু বলি তার শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করি।

বৃহস্পতিবার  ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই মহানগর পুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোনও ধরনের অপতৎপরতার চেষ্টা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্বাভাবিক অবস্থা বিঘ্ন হওয়ার সুযোগ নেই। কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা বরদাশত করা হবে না। আমাদের পুলিশ সদস্যদের সে সক্ষমতা রয়েছে।

সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ফের ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীবাসীকে আইন মানতে বাধ্য করতে নানাবিধ উদ্যোগ বাস্তবায়নে পুলিশের সঙ্গে এই ট্রাফিক সপ্তাহে রোভার্স স্কাউট, গার্লস গাইড ও বিএনসিসির সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৬ জন শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামানো, ফুটপাতে মোটরসাইকেল উঠানো, লাইসেন্স ও নিবন্ধন ব্যতীত গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, মোটরবাইক চালক ও আরোহী উভয়ের হেলমেট পরা, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলাসহ এধরণের অপরাধ করে পার পাবে না চালক ও মালিকরা।

তিনি বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে মোটরসাইকেল চালকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়কেই হেলমেট পরে সুশৃঙ্খলভাবে বাইক চালানোর অনুরোধ করছি। দুইজনের বেশি যাত্রী উঠতে দেয়া হবে না। থাকতে হবে হেলমেট। আর ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ নির্দেশনা সফল হয়েছে।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকায় ১৩০টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে।

যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না। বাসযাত্রীরা সড়কে যত্রযত্র দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। যত্রতত্র ও ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপারা হওয়া যাবে না। জেব্রা ক্রসিং কিংবা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। বাস স্টপেজে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি বাসের সামনে চালকের ছবি ও ফোন নম্বর থাকতে হবে। বাসচালক সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাবেন। চুক্তিভিত্তিক নয়, বাসের ড্রাইভার হবে বেতনভুক্ত।

গত ৫ থেকে ১৪ আগস্ট চলা ট্রাফিক সপ্তাহে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক শৃঙ্খলায় পুলিশের জনবলের অভাব অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম। তবে সবাই যদি সহযোগীতা করেন তবেই শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব। স্পষ্ট করেই বলি, পুলিশ সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করে থাকে মাত্র, রোড সেইফটি, রোড ইঞ্জিনিয়ারিং অন্য প্রতিষ্ঠান করে। ঢাকায় ৫৪টি ট্রাফিক চেকিং আমরা সক্রিয় রেখেছি। আরম ৮৮টি সিগন্যাল বাতির মধ্যে ১২টি সক্রিয় রয়েছে। ১২টি অটোমেটিকভাবে চালানের উদ্যোগ আমরা নয়েছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২১:৪৮ | বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com