| শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
চাপার জোরে যারা নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গরম করে রাখেন তাদের একটারও আজ খবর নাই। সব ধান্দাবাজ, দলটা শেষ।’ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই প্রতিবেদকের কাছে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন কার্যালয়টির সামনে নিয়মিত অবস্থান করা রিজভী হাওলাদার। অনেকে তাকে পাগলা রিজভী বলেও সম্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসকে’ কেন্দ্র করে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা ছিল বিএনপির। তবে অনুমতি না পাওয়ায় রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
এদিকে সাধারণত সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে অর্ধশত নেতার নিয়মিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও আজ সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর পাশে বসানোর মতো সেই অর্থে কোন নেতা ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে এসে যুক্ত হন দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ না নিলেও মিডিয়ায় নিজেদেরকে প্রচারমমুখী রিজভীর একটি সিন্ডিকেট চক্র সংবাদ সম্মেলনের দিন হাজির হন নয়াপল্টনে।
তবে সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতির সংবাদ শুনে সুবিধাবাদী এসব নেতা আজ নয়াপল্টনে আসেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নয়াপল্টনে আজ হাজির হয়েছেন এমন এক নেতা।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেমী ভক্ত রিজভী হাওলাদার আরো বলেন, যারা পোস্টে আছে হেরাই ম্যাডামরে শেষ করছে। যারা পোস্টে নাই ওরাই ম্যাডামরে বাঁচাইয়া রাখছে।
বড় নেতা পোস্ট পাইছে এজন্য নয়াপল্টনে আর আসে নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ম্যাডাম ছাড়া দলে এক নম্বর কোন লোক নাই।
আজও সকাল ৭টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে এসেছেন জানিয়ে বিএনপির পাগল এই সমর্থক বলেন, কার্যালয়ের সামনে পুলিশ আসছে সাড়ে ৭টায়। আসার পর ২ জনকে আটক করতে দেখেছি। দুইজনই কর্মী। একটা থাকে কাকরাইল আর আরেকটা এই নয়াপল্টন এলাকায় থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে যারা নিজেদের চেহারা দেখাতে আসে তারা আজ কোথায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ম্যাডাম কি করবো নেতারা ভয় পায়। সকালে দৌঁড়ানি খাইছি পুলিশের। পরে সইরা দেছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বড় নেতারা বাইর না হইলে আমরা কি করমু। সব ধান্দাবাজ। দল শেষ হইয়া গেছে।
এদিকে দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় কার্যালয়টি নেতাকর্মীশূন্য অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। সকাল থেকে অবস্থান নেয়া রুহুল কবির রিজভী কার্যালয় ত্যাগ করার পর কর্মকর্তা আর কর্মচারী ছাড়া কাউকেই নয়াপল্টনে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, পাগলা রিজভী হিসেবে পরিচিত এই বিএনপি পাগল দল ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে গালি গায়ে বিভিন্ন স্লোগান লিখে নয়ায়াপল্টনে অবস্থান করতে দেখা গেছে। মূলত নেতাদের পোস্টার লাগানো ও ছোট খাট কাজ করেন এই রিজভী।
পটুয়াখালির বাউফলে গ্রামের বাড়ি হলেও গত ২০ বছর ধরে নারায়নগঞ্জের নূরবাগে একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি।
Posted ০৯:৩৭ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain