| মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম,মোরেলগঞ্জ থেকে : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত জড়াজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৪০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার নাহওয়ায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ভবন ব্যবহারের সম্পূর্ন অনুপয়োগী হয়ে পরেছে। অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওইসব বিদ্যালয় ভবনে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ এসব জরাজির্ণ ভবনে ইতোপূর্বে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিদ্যালয়ের কোন কোনটিতে কমিটি ও স্থানিয় লোকজনের সহযোগিতায় টিনের/গোলের ছাপড়া ঘর তুলে বছরের পর বছর ধরে চালান হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। আবার কোনটিতে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। সরেজমিন একাধিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাগেছে দরজা-জানালা ভাংগা।
পলেস্তরা খশে পড়া জরাজীর্ণ ঝঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাশ চলছে। ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা থাকছে সর্বদা আতঙ্কের মধ্যে। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয় পাঠাচ্ছেননা। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন গুলো পরিত্যাক্ত ঘোষনার পর ৮/১০ বছর অতিবাহিত হলেও এসব ভবনের পূন:নির্মানের কোন ব্যবস্থা করা হচ্ছেনা। এসব ভবন নির্মাণ ও মেরামতের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসে বারবার আবেদন করেও কোন সুফল পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এসএমসি’র সদস্যরা। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মেরামত অথবা নতুন ভবন নির্মণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা নাহলে এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
জড়াজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে পিএস কাকড়াতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিক মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবি বাশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমজি মিত্রডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য গুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরতকিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়. পূর্ব আমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটপড়ি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরবৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব বহরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তোরাফ মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারকেল বাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাফালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সি এস পাঠামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পালের খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কে কে পোলেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিবাড়ী-পুটিখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর সূর্যমূখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিছুর রহমান বলেন ঝঁকিপূর্ণ ভবনের বিদ্যালয়ের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।
Posted ১৪:১২ | মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin