| শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম, মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগপঞ্জে বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে তরুনলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। হামলা ভাংচুরের এ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিশারীঘাটা গ্রামে আনোয়ার মাতুব্বরের বসতবাড়ি ও দোকান ঘরে। হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় আনোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শ’শ’ লোক জড় হয়ে হামলাকারীদেরকে গণপিটুনি দিয়ে বিশারীঘাটা বাজারের একটি ফাকা ঘরে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে থানার ওসি (তদন্ত) তারক বিশ্বাস, এসআই নজরুল ইসলামসহ পুলিশের পৃথক দ’ুটি দল ওই হামলাকারীদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একটি মোবাইল ফোন চুরির কাহিনী সৃষ্টি করে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানা গেছে।
হামলায় আনোয়ার মাতব্বর (৬৫), তার স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫), হেলাল মাতব্বর (২৫), বেল্লাল মাতব্বর (২৮), শ্যামলী বেগম(৪০), হাফিজুল খান(২৮), প্রতিবন্দী যুবক রাজু(১৫) ও রিয়াজ (১২) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পারুল বেগম ও রিয়াজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে হেলাল মাতুব্বর বাদী হয়ে পৌর তরুণলীগের সভাপতি মিরাজ ফকিরকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। । হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ২লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট ও তছনছ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম জানান, ঘটনায় ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামি মিরাজ ফকিরসহ ৯জন আটক আছে। ভুলে আটক হওয়া ১জনকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃতরা নিজেদেরকে ছাত্রলীগ ও তরুণলীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন । তবে এ সম্পর্কে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম টিটু বলেন, আটককৃতরা কেউ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নয়। ‘তরুণলীগের’ উপজেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান বিজয় জানায়, মিরাজ ফকির পৌর তরুণলীগের সভাপতি। অন্যরা ছাত্রলীগ ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের লোক। পৌরছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন রাজ্জাক বলেন, আটককৃতরা কেউ ছাত্র নয় এবং ছাত্রীগেরও কেউ নয়।
Posted ১০:৫৫ | শনিবার, ১১ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin